• শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শংকরপাশায় দুর্ঘটনা: শালা-দুলাভাই নিহত, বাসচালক পলাতক ধানমন্ডিতে শিশুর ভুল চোখে অপারেশন, অভিযুক্ত চিকিৎসক গ্রেপ্তার ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের গেজেট প্রকাশ রেস্তোরাঁ খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার গিগাবাইটের এআই এজেন্ট জিম্যাট সহ নতুন প্রজন্মের এআই পিসি উন্মোচন দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত প্রথম মৃত্যু, ছিল অন্যান্য জটিলতা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর: মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১২.৫৫% ইসরায়েল-হামাস চুক্তি: ছয় সপ্তাহের মধ্যে বন্দি বিনিময় ও সেনা প্রত্যাহার শুরু টানা দুই ম্যাচে ৫ গোল: বার্সেলোনা কোয়ার্টার ফাইনালে

গরমে কাঁচা আম খেলে যা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

রোদের ঝলকানি চোখ রাঙাচ্ছে। গরমে যেন টেকাই দায় হয়ে পড়েছে। এসময় কিছু জিনিস চোখে পড়লে খেতে ইচ্ছা করে। কাঁচা আম তার মধ্যে একটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাঁচা আম খেলে শরীরে কী ঘটে?

তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই কাঁচা আমের শরবত পান করেন। অনেকে আবার কাঁচা আমে লবণ মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন তরকারি, ডাল কিংবা চাটনিতে মিশিয়ে খাওয়া হয় কাঁচা আম। কিন্তু কাঁচা আম শুধু স্বাদেই ভালো নয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও অবদান রাখে।

কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটসহ প্রচুর পুষ্টি। তাই গরমে বিশেষজ্ঞরা কাঁচা আম খাওয়ার পরামর্শ দেন-

১. কাঁচা আমে চিনির পরিমাণ কম থাকে কাঁচা আমে। এক কথায় বলতে গেলে কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন কাঁচা আম।

২. ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচা আম হার্ট সুস্থ রাখে। এই দুটি উপাদান রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. এছাড়া আমে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। ইমিউনিটি বাড়ায়। ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই এবং একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে কাঁচা আমে। এসব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

৪. হজমে সাহায্য করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম। ফলে খাবার খুব ভালোভাবে হজম হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

৫. শুধু তা-ই নয়, কাঁচা আম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে অবদান রাখে। কাঁচা আমে খুব কম ক্যালরি থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও চিনিও কম থাকে। সুতরাং যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েটে রাখতেই পারেন কাঁচা আম।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর