• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে নির্বাচন করলে মানবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিক্রি, আটক ২ ও জব্দ দুই ট্রাক বই ১২ ডেপুটি জেলার বদলি, কারা অধিদপ্তরের নির্দেশ ওষুধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল সেবা ও ওয়ার্কশপে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার, প্রজ্ঞাপন আবেদন খারিজ, ট্রাইব্যুনালে চলবে জুলাই গণহত্যার বিচার সংস্কারে এই বছরের বেশি সময় লাগার কথা নয়: নজরুল ইসলাম খান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রইল বাংলাদেশ বোমা হামলার হুমকি: বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে তল্লাশি, কিছুই পাওয়া যায়নি বোমা হামলার হুমকিতে শাহজালালে বিজি-৩৫৬ ফ্লাইট ঘিরে বিশেষ সতর্কতা জার্মানি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করবে: ওলাফ শলৎজ

ইনহেলার ব্যবহার করলে কী রোজা ভেঙে যাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

ইনহেলার হচ্ছে শ্বাসের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণের জন্য ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে সালবিউটামল বা সালমেটেরল বা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ থাকে। এই ওষুধ এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত থাকে, যা গ্যাস হিসেবে মুখ দিয়ে গ্রহণ করতে হয়। ওষুধ মিশ্রিত গ্যাস শ্বাসনালিতে প্রবেশ করার পর শ্বাসনালির সংকোচন প্রতিরোধ হয়।

ইনহেলার ব্যবহার করলে কী রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা নিয়ে মতবিরোধ আছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিত একমত হয়ে জানিয়েছেন, যদি কারও শ্বাসজনিত দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকে যেমন, অ্যাজমা ও সিওপিডি থাকে, তাহলে তিনি ইনহেলার ব্যবহার করতে পারবেন এবং এতে রোজা ভাঙবে না। এ বিষয়টি বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে।

এছাড়া কেউ যদি রোজার সঠিক অংশ হিসেবে ঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। তখন ওই ব্যক্তির পক্ষে রোজা রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তবে মূল কথা হচ্ছে, ইনহেলার খাদ্যের পরিপূরক নয়।

ইনহেলার ব্যবহারের নিয়ম- অধিকাংশ অ্যাজমা ও সিওপিডির ওষুধ দিনে দুবার গ্রহণ বা সেবন করতে হয়। এ জন্য রোজার সময় চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নেয়ার সময় নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আবার সালবিউটামল জাতীয় ইনহেলার যেসব উপসর্গ অনুযায়ী সেবন করতে হয়, সেসব রোজা রাখা অবস্থায় নিলে তাতে রোজা ভাঙে না।

ধর্মীয়ভাবে এ ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, এ জন্য চিকিৎসার অংশ হিসেবে এই ধরনের রোগীকে যদি কোনো চিকিৎসক ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি পালন করা যেতে পারে।

তবে হ্যাঁ, মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভাঙবে না। এভাবে কাজ চললে বিষয়টি খুবই সহজ হয়ে যাবে। এতে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি রোজা ভাঙবে না।

কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে অতি প্রয়োজনে কিছু খেয়ে ফেলে, তাহলে অতি প্রয়োজনে খাওয়ার কারণে রোজা ভেঙে যাবে। এতেকরে পরে এ রোজার কাজা দিতে হবে।

(সূত্র : ইবনে আবিদিন, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৩৯৫; ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৯; হেদায়া ১/১২০)


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর