মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ হতে পারে ১০ এপ্রিল

মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার ইতিটানবেন সেখানের মুসলমানরা। মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা’ এই তথ্য জানিয়েছেন। ঈদের চাঁদ ওঠার মাধ্যমে শেষ হয় সিয়াম-সাধনার মাস রমজান। এরপর মুসল্লিরা পালন করেন খুশির ঈদ।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, আগামী ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হতে পারে। যার অর্থ এবার মুসল্লিরা ৩০টি রোজা রাখবেন।

কাকতালীয়ভাবে শাহিওয়াল বা ঈদের চাঁদের জন্মের দিন আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে। মধ্যরাতের আগে অর্ধচন্দ্রের উদয় হওয়ার অর্থ এর পরের দিন বেশিরভাগ ইসলামিক দেশে সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখা যাবে।

মুসল্লিদের মধ্যে ঈদুল ফিতর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাতিক তাৎপর্য বহন করে। এরমাধ্যমে কৃতজ্ঞতা, নতুনত্ব এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতীকি ফুটে ওঠে। ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে উদযাপিত হয় রোজার চূড়ান্ত এবং ঐশ্বরীয় বিষয়টি।

মধ্যপ্রাচ্যে ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। তাই সোমবার (১১ মার্চ) সেখানে রমজান মাসের প্রথম দিন ছিল।

ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান হলো নবম মাস। এই মাসে মুসলিমরা সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন।

চলতি বছর পবিত্র রমজানে সবচেয়ে কম সময় না খেয়ে থাকতে হবে চিলির পোর্ট মন্ট শহরের মানুষদের। সেখানের মুসলিমদের ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট না খেয়ে রোজা পালন করতে হবে। সবচেয়ে বেশি সময় অর্থাৎ ১৭ ঘণ্টা ২৬ মিনিট না খেয়ে থাকতে হবে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানীতে।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ

যদিও জ্যোতির্বিদরা ধারণা করেছিলেন; এমনকি অনেকটা জোর দিয়ে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম রোজা হবে ১২ মার্চ থেকে। কিন্তু তাদের সেসব ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে চাঁদ দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *