লীনা পারভীন: চাকরি চলে যাওয়া একজন মানুষের জীবনে আর সকল দুর্ঘটনার চাইতে কম বেদনার না। গ্লোবালি ইকোনোমিক ক্রাইসিস শুরু হয়েছিলো ২০২২ থেকে। অনুমান করা যাচ্ছিলো এটা ২০২৩ ছাড়িয়ে ২৪ এও চলে যাবে। বিশ্বের জায়ান্ট কোম্পানিগুলো ছাঁটাই করছিলো। বলেছিলাম, এই ধাক্কা বাংলাদেশে আসতে দেরি নাই। ঠিক তাই ঘটতে চলেছে। দারাজ ৫০০ কর্মীকে লে-অফে এনেছে। হয়তো সাময়িক কিছু টাকা পাবে, বাট বেকার হয়ে যাওয়া মানুষটার কী হবে? ৫০০ এর সাথে তাদের পরিবার যুক্ত। সমস্যা হচ্ছে জ্যাকমার মতো ফ্ল্যাশি মানুষেরা আসে নিজের ক্যারিশমা দেখাতে। সে চলে গেছে, বাট মানুষের ভাগ্য মেরে দিয়ে গেছে। আজকে দারাজ মরছে, কালকে আরও কোনো বড় কোম্পানি মরবে।
ঠিক একবছর আগে আমি প্রেডিকশন দিয়েছিলাম গ্লোবাল দারাজের মতো লোকাল দারাজও ধরা খাবে। ইভেন আলীবাবার আরও যেখানে বিনিয়োগ আছে তারাও ধরা খাবে। কারণ আলীবাবার পলিসি ভিন্ডিক্টিভ ছিলো ফর লোকাল মার্কেট। বিস্তারিত পরে লিখবো বাট জাস্ট বলে যাচ্ছি সাবধান না হলে খুব দ্রুতই দেশসেরা মোবাইল ফাইন্যান্সিং কোম্পানিও ধুকবে। আজ না হয় আগামীকাল বা পরশু। অতিরিক্ত মানুষ নিয়োগ, মার্কেট আউট করা স্যালারি ও বেনিফিট প্যাকেজ দিয়ে কোম্পানিকে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড করা যায়, বাট সাসটেইনেবল করা যায় না।
সাধু সাবধান। সবাই যার যার নিজের পকেট গুছান। কেবল চাকরির বিশাল আয় দেখেই ডুবে যাবেন না। অল্টারনেটিভ ইনকাম চ্যানেল ক্রিয়েট করা লাগবে। মিনিমান ৬ মাস চলার মতো ক্যাশ হাতে রাখা লাগবে। নাইলে বিপদ। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয় কর্তারা, বাট আখেরে সেই দায় মিটায় সাধারণ কর্মীরা। দারাজের সকল সহকর্মীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। সম্ভব হলে সবাই মিলে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় ও ফ্যাশনি খরচ কমানো উচিত। আগে জীবন বাঁচানো তারপর সামাজিকতা। কোটি টাকায় বাইরের স্পন্সর না হয়ে বা বছরের একবেলা খাওয়াদাওয়া আর নাচগান না করে কর্মীদের দিকে তাকান। Sustainability should be the priority not show-off. ফেসবুকে ২-৩-২৪ প্রকাশিত হয়েছে।