যেভাবে প্রিয়জনকে খুশি রাখবেন

ভালোবাসা দিবস তো চলেই এলো। কিন্তু তার আগে আরেকটি দিবস যে লুকিয়ে আছে, তা কি জানেন? প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় ওয়ার্ল্ড ম্যারেজ ডে বা বিশ্ব বিবাহ দিবস। না, এই দিনে মানুষ দলে দলে বিয়ে করে না। বরং বিশ্বজুড়ে সব বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধন আর দৃঢ় করতেই এই দিবসের সূচনা।

বিয়ের পরে অনেকে আর আগের মতো সম্পর্কের যত্ন করতে জানেন না। মনে হয়, আছেই তো! কিন্তু এভাবে ধীরে ধীরে সম্পর্ক শিথিল হতে শুরু করে। তাই সারা জীবন বিয়ের বন্ধন ধরে রাখতে চাইলে দু’জনকেই সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার প্রিয়জনকে খুশি এবং সম্পর্ক সুন্দর রাখতে কী করবেন-

কৌতূহল থাকুক

সবকিছু জানা হয়ে গেলে সেই জিনিস পুরনো হয়ে যায়। আপনাদের সম্পর্ক কখনো পুরনো হতে দেবেন না। দু’জনের মধ্যেই পরস্পরের সম্পর্কে কৌতুহল থাকুক। সঙ্গীর চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা বুঝতে পারার কৌতুহল ও আগ্রহ জাগিয়ে রাখুন। তাকে সরাসির প্রশ্ন করুন, তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। তার কাছ থেকে কিছু লুকাবেন না। মনে রাখবেন, সেই আপনার জীবনসঙ্গী। এতে সম্পর্কে নতুনত্ব থাকবে। প্রিয়জনও থাকবে খুশি।

শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও তার পাশে থাকুন। কারণ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি থাকার পরেও সে যেন নিজেকে একা অনুভব না করে। বরং তার মন খারাপের দিনে মন ভালো করার চেষ্টা করুন। যে কাজগুলো ভাগাভাগি করা সম্ভব, সেগুলো ভাগাভাগি করুন। এতে তার মন খুশি তো থাকবেই, সম্পর্কও থাকবে প্রাণবন্ত।

সততা ধরে রাখুন

সম্পর্কে সততা ও বিশ্বস্ততা থাকা জরুরি। এগুলো না থাকলে সেই সম্পর্ক একটা সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সঙ্গীর সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলবেন না। বরং সম্পর্কে বিশ্বাস ধরে রাখুন। এমনকিছু করবেন না যা আপনার প্রতি তার বিশ্বাস নড়বড়ে করে দিতে পারে। বরং সহজ ও স্বচ্ছ থাকুন। আয়নার মতো হোন। যেন সে আপনার সামনে দাঁড়ালে নিজেকেই দেখতে পায়। নিজের অনুভূতিগুলো তার সঙ্গে ভাগ করে নিন।

কৃতজ্ঞ থাকুন

কৃতজ্ঞতা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এটি সম্পর্ক সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি। তাই সঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। তার ছোট ছোট কাজগুলোর সুন্দরভাবে প্রশংসা করুন। আপনার জীবনে তার অস্তিত্ব কতটা, তা বলুন। এতে সে খুশি হয়ে যাবে। মৌখিক স্বীকৃতিও অনেক সময় অনেক কার্যকরী হয়। তাই শুধু কাজেই নয়, মুখেও বলুন ভালোবাসার কথা। প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আপনার ভালোবাসার শক্তি আরও বাড়িয়ে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *