• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
কমলা-ট্রাম্পের বিতর্ক দেখা যাবে এবিসি নিউজ, বিবিসি, সিএনএনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী আটক শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন : ড. ইউনূস প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি, যুদ্ধ বাঁধাতে পা‌রি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫০০ ছাড়িয়েছে জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যে কোন বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই: নাহিদ ইসলাম দেশের ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক ডিএমপির মিডিয়া শাখার নতুন ডিসি তালেবুর রহমান, ১২ কর্মকর্তাকে পদায়ন সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্রিকেটে ফিরছেন মাশরাফি

আজ শুভ বড়দিন, গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব `শুভ বড়দিন’ আজ। এটা যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন। ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেনখ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল যিশুর।

শুভ বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়। এ সময় বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনাও করা হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। পাশাপাশি এ দিন রাতেও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা মহামতি যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিনকে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিষ্ট ধর্মানুসারে যিশু খ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

বড়দিন উপলক্ষে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি। সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা। দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছে কীর্তন ও ধর্মীয় গানের অনুষ্ঠানের।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ছেড়েগ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। এদিন অনেক খ্রিষ্টান পরিবার কেক তৈরি করবে। খ্রিষ্টান পরিবারগুলোতে থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।

পাশাপাশি রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে, কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য জন্ম নিয়েছিলেন যিশুখ্রিষ্ট।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর