এবারের নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। এমনকি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় যারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হচ্ছে। আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছে। এবারের নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা আছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন- ‘প্রয়োজনে আমাদের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন পেছাতে রাজি নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই।’
ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা নিবন্ধিত ৪৪টি দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছি। এখনও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের সময় সীমা হেরফের করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী যে সময়সীমা আছে সেটাকে রি-অ্যাডজাস্ট করার জন্য যতটুকু নির্বাচন পেছানো সম্ভব, সেটাও আমরা রাজি আছি। তারপরও চাই প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক।’
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।
সভায় জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেন।