বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়াতে মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
চিঠিতে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় পোশাকশ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাত্রার ব্যয় নিশ্চিতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পোশাকের ন্যায্য ও নৈতিক মূল্য প্রত্যাশা করছি। এএএফএর সদস্যদের কাছে থেকে যুক্তিসংগতভাবে পোশাকের দাম বাড়াতে আপনার সম্পৃক্ততার দাবি জানাই।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এই অনুরোধ করেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হোয়াটসঅ্যাপে বিজিএমইএর মিডিয়া গ্রুপে এই চিঠির অনুলিপি সরবরাহ করেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক ও জুতা কোম্পানি ও তাদের সরবরাহকারীদের জাতীয় পর্যায়ের বাণিজ্য সংগঠন। এটি এক হাজারের বেশি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে।
চিঠিতে আরও বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদিত ক্রয়াদেশের পোশাকের দাম যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির বিষয়টি মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান যাতে বিবেচনা করে, সে জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাই। নতুন মজুরি কাঠামোতে রূপান্তরের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চিঠির বিষয়ে আপনার সদস্যদের অবগত করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দেন এএএফএর সভাপতি স্টিফেন ল্যামার। সেই চিঠিতে এএএফএ সভাপতি শ্রমিকনেতা শহীদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মজুরি নির্ধারণের অনুরোধ জানান। ওই চিঠির সূত্র ধরেই এএএফএ সভাপতিকে চিঠি লিখেন বিজিএমইএ সভাপতি।