বিএনপির রাজনীতির মূল হাতিয়ার হলো সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার -কাদের

‘হুমকি দিয়ে লাভ নেই, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হুমকি দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আর শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না।

তিনি শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। তত্বাবধায়কের নামে অস্বাভাবিক সরকার আওয়ামী লীগ মানে না। ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষে বিএনপি আবার আগুন সন্ত্রাস করতে এলে তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘অনুমতি নেবেন না। আইন মানবেন না। অনুমতি না নিয়ে কোথায় যাবেন? জনগণ যখন ধাওয়া দিবে যাবেন কোথায়? আগুন নিয়ে আসবেন। নাশকতা করবেন। ওই নাশকতার কালো হাত ভেঙে দিবো। মাঠ ছাড়ব না। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব। আগামী ৩৬ দিন আমাদের ঘুম হারাম। সতর্ক থাকতে হবে। ক্যাপ্টেন ডাক দিলে চলে আসবেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশ ভয় পায় ন। বাংলাদেশ চলবে তার সংবিধান অনুযায়ী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের গণতন্ত্রকে বাচাতে আগে ট্রাম্পকে সামলাক।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচন কিভাবে হবে সংবিধানেই তার উল্লেখ আছে। আমরা নির্বাচন করব সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চাই। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দেয়ার তুমি যুক্তরাষ্ট্র কে?

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে: কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও ডা. দীপু মনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশকে তুলে দিতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *