• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন

শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি

পাকিস্তানে ২৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কাজি ফায়েজ। আজ রবিবার ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউসে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান উমার আতা বান্দিয়াল। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কাজি ইসা। তবে খুব বেশিদিন তিনি দায়িত্বপালন করবেন না। ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি থাকার কথা রয়েছে তার।

রবিবার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার, সেনাপ্রধান অসিম মুনির, সিনেটর ও বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা।

আইন বিষয়ে ৪৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে বিচারপতি ইসার। সংবিধান, আইন, ইসলাম ও পরিবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। ম্যাস মিডিয়া ল অ্যান্ড রেগুলেশনস ইন পাকিস্তান নামে একটি বইয়ের সহলেখক তিনি।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে গত তিন বছর তিনি কোনো সাংবিধানিক মামলা পরিচালনা করেননি।

১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন কাজি। তার বাবা কাজি মোহাম্মদ ইসা পাকিস্তান আন্দোলনের একজন বিখ্যাত নেতা এবং মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

কোয়েটাতে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে করাচি গ্রামার স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল সম্পন্ন করেন কাজি ইসা। এরপর তিনি লন্ডনে আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১০৮৫ সালেল ৩০ জানুয়ারি বেলুচিস্তান হাইকোর্টে যোগ দেন ইসা। ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির পর পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে তিনি কোনো মামলায় অংশ নেননি।

২০০৮ সালে বেলুচিস্তানের সব বিচারক পদত্যাগ করলে সরাসরি প্রাদেশিক হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ইসাকে। সুপ্রিম কোর্ট ও বেলুচিস্তান হাইকোর্টে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার আগে ২৭ বছর তিনি আইন নিয়েই কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালেও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি।

তবে গত পাঁচমাস শুধুমাত্র চেম্বারেই কাজ করেছেন কাজি ইসা। প্রধান বিচারপতির বিতর্কিত ক্ষমতার প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো মামলায় অংশ নেননি তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর