এক দশক আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানসহ দুজনের মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালত থেকে জানানো হয়েছে, মামলার রায় প্রস্তুত হয়নি। এ কারণে রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
এ বিষয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘মামলার রায় প্রস্তুত হয়নি। ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে আদালত থেকে জানানো হয়েছে।’
মামলার অপর আসামি হলেন এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান। এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম ও আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া শুনানি করেন
১০ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে ডিবি পুলিশ। ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন বিচারক। সেদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদিলুর ও এলান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাতযাপনের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে দাবি করেছিল ‘অধিকার’। সরকারের ভাষ্য, সেই রাতের অভিযানে কেউ মারা যায়নি।
শাপলা চত্বরে অভিযানের পর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ডিবি পুলিশ। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম।