ফেডারেশন কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী-মোহামেডান।
এদিন ম্যাচের শুরুতে অবশ্য আাধিপত্য বিস্তার করে আবাহনী। প্রথমার্ধে তারা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে দারুণভাবে খেলায় সমতায় ফেরে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। খেলার ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী ক্লাবটি। ২-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। একের পর এক আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাদা-কালোরা। ফলে চার মিনিটের ব্যবধানে অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে সমতায় ফেরে মোহামেডান।
এরপর ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে আবারো (৩-২) ব্যবধানে এগিয়ে যায় আবাহনী। ৮৩ মিনিটে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাত। তার কল্যাণে মোহামেডান আবারও (৩-৩) সমতায় ফেরে। এতে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হয়ে খেলা গড়াই অতিরিক্ত সময়ে।
খেলার ১০৫ মিনিটে সোলেমান দিয়াবাতে গোলের জন্য এগিয়ে যান। আবাহনীর গোলরক্ষককে একা পেয়ে নিজের চতুর্থ গোলের জন্য মরিয়া ছিলেনি তিনি। গোল ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন গোলরক্ষক সোহেল। রেফরি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি শটে মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলকে ৪-৩ এ এগিয়ে নেন। ১১৯ মিনিটে রহমতের গোলে ফের সমতায় ফিরে আবাহনী। অতিরিক্ত সময়ে খেলা ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
ট্রাইবেকারে প্রথমে শটে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক দিয়াবেতে। বিপরীতে আবাহনী অধিনায়কে শট রুখে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে ৪ গোল করে এবং আবাহনীর দুই শট প্রতিহত করে জয় পায় মোহামেডান।