নিউজ ডেস্ক : অনিয়ম দিয়ে যার যাত্রা শুরু সে কখনো ভালো কিছু উপহার দিতে পারে না। বিষয়টা ঠিক ওই প্রবাদের মতো- ‘প্রভাতই বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে’। হয়েছেও তাই, সর্বোচ্চ ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ডমানিতে ফি কাটা, চক্র দিয়ে প্রতারণা, গ্রাহক জিম্মি এবং হুটহাট টাকা কেটে নেওয়া তাদের নৈমিত্তিক ঘটনা। এতোক্ষণ বলছি, মাফিয়া কোম্পানি বিকাশের কথা।
নতুনভাবে আবারও অনৈতিক কাজের জন্য সামনে এসেছে বিকাশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের অপকর্মের ফিরিস্তি। যেখানে দেখা গেছে পুরো একটি গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে বিকাশ প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে কেউ ওই গ্রামে গিয়ে বিকাশে ক্যাশআউট করলেই পড়ছেন বিপদে।
আর জায়গাটির নাম হলো ফরিদপুর জেলার মধুখালীর কামারখালী বাজার। যে বাজারে আধিপত্য চলে শুধুই বিকাশ প্রতারকদের। এজেন্টদের দিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকদের তথ্য ও টাকার পরিমাণ জেনে নিয়ে সেগুলো লুট করে বিভিন্ন কৌশলে। পুলিশে অভিযোগ করলেও ফায়দা মেলে না। কেননা এগুলো নিয়ন্ত্রণ কোনো ছোটখাটো মানুষ করে না। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বড় বড় রাঘববোয়ালরা। যাদের লবিং বিকাশের হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, আপনি বাইরে থেকে এসে এখানে ক্যাশআউট করতে পারবেন না। এখানে ক্যাশআউট করলে বিপদে পড়তে হতে পারে। আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য সব বেহাত হয়ে যাবে। কোনদিন কিভাবে আপনার টাকা গায়েব হয়ে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। বারবার বিকাশ অফিসে ফোন করে বলা হলেও তা কাজে আসেনি। বরং এই গ্রামের মানুষ বিকাশ লেনদেন এড়িয়ে চলে বা অন্য গ্রামে গিয়ে লেনদেন করে।
এজেন্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা প্রথম রাজি না হলেও পরে জানান, তাদের কিছু করার নেই। ব্যবসার খাতিরে তাদের সকল তথ্য লিখে রাখতে হয়। কোম্পানির নাম করে কেউ এসে খাতা দেখতে চাইলে কিছু করার নেই।
বিকাশ প্রতারক চক্রের কাছে এজেন্টরা নিজেরাও জিম্মি আছেন বলে মন্তব্য করেন।