• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

ওসমানীনগর ট্রাজেডি: রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবারের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সদস্যের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে অপেক্ষায় আছেন তারা।

এদিকে স্বামী-সন্তানদের মৃত্যুর কারণ জানার অপেক্ষায় আছেন নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমও। কারণ জানার পর ছেলে সাদিকুল ইসলামকে নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, প্রবাসী পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর রহস্য এখনো জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে ল্যাব থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। রিপোর্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আসবে।

এদিকে, হোসনে আরা বেগমের বরাতে তার চাচাত ভাই গোলাম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তসহ খাবারের রাসায়নিক প্রতিবেদন এবং জেনারেটরের ধোঁয়া পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। রিপোর্ট আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ঘটনার কারণ নিশ্চিত হতে পারবে, এমনটি আশাবাদি তিনিও।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই রাতে খাবার শেষে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সন্তানরা একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরেরদিন সকালে বাসার অন্যান্য স্বজনরা ডাকাডাকি করে প্রবাসীরা ঘরের দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে পরিবারের ৫ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাহিকুল ইসলামকে (১৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হুছনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিয়া ইসলামকে (২০) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ৩ আগস্ট হোসনে আরা বেগম ও সাদিকুল ইসলাম সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাতে সামিরা ইসলামের মৃত্যু হয়। পরদিন তাকে গ্রামের বাড়িতে বাবা-ভাইয়ের পাশে দাফন করা হয়। পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হোসনে আরা বেগম ও তার ছেলে সাদিকুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর