• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

নাম পরিবর্তন করছে ফেসবুক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট: নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে রিব্রান্ডিং এর জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই নাম পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

অক্টোবরের ২৮ তারিখে ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলনে মার্ক জাকারবার্গ এই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে ভক্স মিডিয়া পরিচালিত মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শিগশিগই এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করবে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কয়েকদিন আগেই ফেসবুক দায়িত্বশীলভাবে ‘মেটাভার্স’ গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।

মেটাভার্স হলো ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তারাই অ্যাভাটারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অ্যাভাটারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে, অ্যাভাটারও তাই করবে। অর্থাৎ, মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগৎ, যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিআর হেডসেট। কাজ করছে ‘এআর গ্লাসেস’ ও ‘রিস্টব্যান্ড’ প্রযুক্তি নিয়েও।

ফেসবুকের নতুন বিনিয়োগটি হবে ‘এক্সআর কর্মসূচি’ ও ‘রিসার্চ ফান্ড’কে ঘিরে। দুই বছর জুড়ে বৈশ্বিকভাবে গোটা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে মেটভার্সের প্রযুক্তি ‘ব্যাপকতা ও ক্ষমতায়নের পন্থায়’ তৈরি। -জানিয়েছে ফেসবুক। এক প্রতিবেদন বলছে, গবেষকদের সঙ্গে ডেটা গোপনতা ও সুরক্ষাসহ চার খাতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। মেটাভার্সে ব্যবহারকারীরা অস্বস্তিকর অনুভব করছেন এমন কিছু দেখার পর যাতে সাহায্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এটি।

এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রবেশযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি করা যায়, তা-ও গবেষণা করে দেখবে ফেসবুক। ‘প্রতিযোগিতায় উৎসাহ’ জোগাবে উন্নয়নশীল শিল্পেও। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরে নানাবিধ ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ রকম সমস্যার মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে কিশোর বয়সিদের ওপর সামাজিক মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের মতো বিষয়াদিও রয়েছে। ফেসবুকের নতুন মেটাভার্স তহবিলের প্রাথমিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ হংকং। সূত্র: রয়টার্স ।

এইদিন/বিজ্ঞানও প্রযুক্তি/এএস


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর