লাগামহীন দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ৭ দিন আগেও যে পেঁয়াজ কেজিতে মিলতো ৫০ টাকায়। এখন গুনতে হচ্ছে ২৫ টাকা বেশি। বেড়ে যাচ্ছে তেল ও চিনির দরও। এ অবস্থায় অসহায় ক্রেতারা পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবকেই দুষছেন।
দ্রব্যমূল্যের বাজারে যেন লেগেছে আগুন। হঠাৎ করেই প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। নুন আনতে যাদের পানতা ফুরোয়, বাজার থেকে তারা ঘরে ফিরছে প্রায় শূন্য ব্যাগ নিয়ে।
বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, সরকারি ছাড়া বেসরকারি চাকরিগুলোতে জানেনই যে বেতন অর্ধেক করে দিয়েছিল। এ অবস্থায় যদি এভাবে দাম বাড়ে, তাহলে আমি তো কিছু কিনতেই পারছি না। বার বার দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাই। আমাদের এখন কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা দিন আনি দিন খাই। আরেকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দাম জিজ্ঞেস করলে আপনাদের বলবে এক কথা, আমাদের বলবে আরেক কথা।
সপ্তাহ খানেক আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ টাকা। এখন সেটা ৭৫ টাকা। ১৪৮ টাকার সয়াবিন তেল ১০ দিনের ব্যবধানে বেড়ে ১৫৮ টাকা। সরিষার তেলে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মোটা মসুরের ডাল ৭০ টাকা থেকে হয়েছে ৯০ টাকা। চিনির দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা। এছাড়াও আটা, ময়দা ও আদা-রসুনসহ প্রায় প্রতিটি মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পেঁয়াজ গত সপ্তাহ ৫০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৭০ টাকা কেজিতে। বাজারের এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতিতে অসহায় তারাও। আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মসুরের ডাল, সয়াবিন তেল ও চাউল। সবকিছুর দামই বেড়েছে। বাজার রেট বেশি হওয়ায়, বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
আর ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, সরকারের পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবেই এই পরিস্থিতি।
তারা বলছেন, অনেক হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা তো সীমিত বেতনে চাকরি করি। বাজারে সব কিছুতেই একটু বেশি দাম। সবই আমাদের বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেট হয়ে যাচ্ছে, এরজন্য তদারকি করতে হবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে রাস্তায় নামতে হবে মধ্যবিত্তদেরও।