• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

রাজস্ব আয়ে ডাক বিভাগের সবচেয়ে সফল ‘নগদ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট: সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের অংশ হয়ে ওঠা ‘নগদ’ ২০২০-২১ অর্থ বছরে তাদের আয় থেকে ডাক বিভাগের অংশ হিসেবে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকার রাজস্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি ডাক বিভাগের সদ্য নির্মিত ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমের হাত থেকে চেকটি গ্রহণ করেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরের সেবার ওপর থেকে আয়ের অংশ হিসেবে এই অর্থ প্রদান করে নগদ।

এ সময় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুসারে, ‘নগদ’-এর সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ ডাক বিভাগের প্রাপ্য। বাকি ৪৯ শতাংশ পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থ বছর ‘নগদ’ থেকে ডাক বিভাগ ১ কোটি ১২ লাখ টাকা আয় পেয়েছিল। শেষ হওয়া অর্থ বছরে যা বৃদ্ধি পেয়ে তিন গুন হয়।

চেক গ্রহণের পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ডাক বিভাগ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড ২০১৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবা চালু করে। সময়ের পরিক্রমায় নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ‘নগদ’ এখন ভালো একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, “দেশে যে যতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা রয়েছে, তার মধ্যে ‘নগদ’ একটি শক্ত জায়গা করে নিয়েছে। ‘নগদ’-এর গ্রাহক ও আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ‘নগদ’-এর লেনদেন শুরু করেন। ‘নগদ’-এ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মালিকানা রয়েছে, এটা সর্বজন স্বীকৃত। জনগণের সেবায় ‘নগদ’ ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে এবং একসময় ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে বিশেষভাবে অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস রাখি।”

তিনি বলেন, ‘‘নগদ’-এর চলার পথে যেসব বাঁধাবিঘ্ন বা অসুবিধা রয়েছে, সেগুলো অতিক্রম করে আগামী দিনে একটি পরিপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ প্রযুক্তিগত সার্ভিস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বর্তমানে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে আরয়েছি, খুব শিগগির ‘নগদ’ প্রথম স্থানে গিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা দিতে পারবে বলে আশি বিশ্বাস করি।’

এ সময় ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, শুরু থেকে ‘নগদ’ ডাক বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। শেষ হওয়া বছরে ডাক বিভাগ যে আয় পেয়েছে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আগামী দিনে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ‘নগদ’ ডাক বিভাগকে আরো বেশি আয় দিতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।

ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে বাজারে আসার মাত্র আড়াই বছরে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে বড় রকমের পরিবর্তন ঘটিয়েছে ‘নগদ’। ফলে সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসহ অত্যাধুনিক সব সেবা উপভোগ করতে পারছে দেশের সাধারণ মানুষ। যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় যে কোনো মোবাইলে *১৬৭# ডায়াল করে কয়েক সেকেন্ডে খুলতে পারছে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট।

তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও ভাতার টাকা অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ‘নগদ’। করোনা ভাইরাস মহামারি ও লকডাউনের সময়ও ‘নগদ’ নিরবছিন্ন সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মানুষের আগ্রহ ও আস্থার কারণে খুব কম সময়ে বাজারে একটি অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছে ‘নগদ’।
এর প্রেক্ষাপটে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ডাক বিভাগের সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক পোস্টাল ইউনিয়ন এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানসহ নয়টি দেশ ‘নগদ’-এর মডেল নিজ নিজ দেশের ডাক বিভাগে চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর