• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

বিড়াল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা আপনার জানা উচিৎ- শেষ পর্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিড়াল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা আপনার জানা উচিৎ- শেষ পর্ব

খান হাসিব:  দেখতে সুন্দর ও লোমশ হওয়ার কারণে পোষা প্রাণীদের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় হচ্ছে বিড়াল। আপনি কি বিড়াল ও বিড়াল ছানাদের সম্পর্কে পরিপূর্ণ জানেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি ভাগ্যবান। আর উত্তর যদি না হয়, তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্যই।

সুতরাং দেরি না করে আজ দৈনিক এইদিনের পাঠকদের জন্য বিড়াল ও বিড়ালের বাচ্চা সম্পর্কে শেষ পর্বে কিছু তথ্য সরবরাহ করছি, যা সব বিড়াল প্রেমীদের জানা উচিৎ…

৯৬. বিড়ালরা তাদের মালিকদের কণ্ঠস্বর চিনতে পারে, কিন্তু প্রায়ই তারা ইচ্ছা করে সাড়া দেয় না!

আপনি এই বিষয়টি ভালভাবে খেয়াল করে দেখবেন, প্রায় সব বিড়ালই এমন আচরণ করে থাকে। এই বিষয়ে জাপানের একদল গবেষকরা বিড়ালদের উপস্থিতিতে মালিক এবং অপরিচিতদের রেকর্ডিং বাজিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।

সেখানে দেখা যায়, বিড়ালগুলো তাদের মালিকের কণ্ঠের স্পষ্ট স্বীকৃতি দেখিয়েছিল আর যখন অপরিচিতদের কণ্ঠ শুনে সেদিকে কোন নজর দেয়নি। তবে উভয় ক্ষেত্রেই তারা শব্দগুলোর উৎস বিষয়ে কোনও বিরক্তি প্রকাশ করেনি!

৯৭. কমিক চরিত্র হিসেবে গারফিল্ড নামে লাসাগনা জাতের একটি বিড়ালের কার্টুন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আঁকা হয়েছে!

গারফিল্ডের ছবি প্রকাশনার পরিবর্তে সিন্ডিকেট করা হয়। যায় মানে হচ্ছে- একই সময়ে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য প্রকাশনীতে ছাপানো হয়।

গারফিল্ড বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকভাবে সিন্ডিকেটেড কার্টুন চরিত্র হওয়ায়, প্রতি নতুন পর্ব প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে এই চরিত্রটি অঙ্কন করা হয়।

তবে প্রথম গারফিল্ড কমিকটি ১৯৭৮ সালে মাত্র ৪১টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু ২০০২ সালে কমিকটি বিশ্বব্যাপী ২,৫৭০টি সংবাদপত্রে প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ব-রেকর্ড গড়ে তুলে!

৯৮. বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইঁদুর শিকারের রেকর্ড ‘টাউসার’ নামে একটি বিড়ালের দখলে!

লম্বা চুলের টরটোশিল জাতের বিড়ালটি ১৯৬৩ সালের ২১ এপ্রিল স্কটল্যান্ডের ক্রিফ শহরের কাছে জন্মগ্রহণ করে। ক্রিফ শহরের বিখ্যাত হুইস্কি ডিস্টিলারি ফার্ম গ্লেন্টুরেট ডিস্টিলারি লিমিটেডে থাকত টাউসারের মালিক। টাউসার নিরবচ্ছিন্নভাবে ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ডিস্টিলারি ফার্মে অনুপ্রবেশকারী ইঁদুর শিকার করেছে।

যতটুকু হিসাব পাওয়া যায়, টাউসার তার জীবদ্দশায় মোট ২৮,৮৮৯টি ইঁদুর শিকার করেছিল। যা প্রতি রাতে গড়ে ৩টি।

এ কারণে মারা যাওয়ার পর গ্লেন্টুরেট ডিস্টিলারি লিমিটেডের ভিজিটর সেন্টারের সামনে টাউসারের একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি স্থাপন করা হয়, যা আজও অটুট রয়েছে!

৯৯. জাপানের একটি ট্রেন স্টেশনে স্টেশন মাস্টার হিসেবে একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেয়া হয়!

জাপানের ওয়াকাহামা প্রিফেকচারের কিশি স্টেশনের এই স্টেশনমাস্টার বিড়ালটির নাম ছিল তামা, সে ছিল সাদা এবং কমলার সংমিশ্রণের ক্যালিকো জাতের বিড়াল। ২০০৭ সালের বাজেটে ট্রেন লাইনে কর্মীদের বেতন হ্রাসের পর তামাকে এই পদে বসানো হয়।

এ সময় বেতনের পরিবর্তে তামাকে এক বছরের খাবারের সঙ্গে স্টেশনমাস্টারের টুপি সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে একটি সোনার মেডেল প্রদান করা হয়, যাতে তামার নাম খোদাই করা ছিল।

এছাড়া ২০১৩ সালে তামাকে জাপানের রেল লাইনের আজীবন সভাপতি হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়!

১০০. আদুরে বিড়ালদের ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষণের ইতিহাস শত বছরের চেয়েও পুরাতন!

বিড়ালের উপর প্রথম চলচ্চিত্রটি ১৮৯৪ সালে বৈদ্যুতিক বাতির উদ্ভাবক টমাস এডিসন তৈরি করেছিলেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য সেই চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘বক্সিং ক্যাটস’, আর বিস্ময়করভাবে এটি ছিল দুটি বিড়ালের বক্সিংয়ের ভিডিওর উপর নির্মিত।

বিড়ালদুটির বক্সিং দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে এডিসন স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই সিরিজটি বানাতে আগ্রহী হয়েছিলেন।

তিনি বরং চলচ্চিত্রের ধারণায় মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি উদ্ভট সিরিজ তৈরি করতে গিয়েছিলেন। সেই সিরিজে বিড়ালের গরগরানি শব্দ তৈরি করতে একজন বিশেষ শিল্পীকে নিয়োগ দেন এডিসন। পরবর্তীতে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিরিজটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে!

আপনি যদি বিড়াল বিষয়ক এই ১০০টি তথ্য পড়ে থাকেন তাহলে একজন বিড়াল তথা প্রাণী প্রেমিক হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আর মানুষ খুব সহজেই বিড়ালের প্রেমে পড়ে যায়, কারণ হাজার হাজার বছর ধরে তারা মানুষের সহচার্যে রয়েছে। আর আপনার বাড়িতে যদি কোনও বিড়াল থাকে তাহলে নিশ্চিতভাবে ধরে রাখুন সে বাড়িতে তার আদুরে কর্তৃত্ব স্থাপন করবে।

আর বিড়াল বিষয়ক এসব তথ্য আপনার যদি ভাল লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না!


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর