• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরু-ছাগল রাখলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরু-ছাগল রাখলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরু-ছাগল রাখলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা

করোনাভাইরাসের কারণে দেশেজুড়ে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের কক্ষ থেকে শুরু করে বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল।

দেশের কিছু সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর আসার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জারি করেছে কঠোর নির্দেশনা। বলা হয়েছে- স্কুলের বারান্দা, আঙিনা অথবা ভবনে গরু-ছাগল রাখলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, দেশের একাধিক বিদ্যালয়ের মাঠে গরু-ছাগল চরানো হচ্ছে। এমনকি গরু-ছাগলের গোয়াল ঘর হিসেবেও বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, এ বিষয়টি দেশের সকল জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সকল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতেও বলা হয়েছে ওই অফিস আদেশে।

প্রসঙ্গত, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ৯৯নং ঝিলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ গরুর ঘর করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাসিন্দারা। প্রতিষ্ঠানের চারদিক ঘুরে দেখা যায়, ঝোপঝাড় আর ময়লা আবর্জনায় আচ্ছন্ন। প্রতিটি কক্ষই গরু, ছাগলের দখলে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ৩-৫টি করে গরু বাঁধা রয়েছে। ছাদের ওপরে চলে তাস খেলার আড্ডা।

সংবাদ মাধ্যমে এম খবর প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসে। এছাড়াও দেশের আরো কিছু জেলায় এ ধরণের ঘটনা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ আসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। এসব ঠেকাতেই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর