ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতিন মিয়ার আয়ের উৎস ছিলো সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ করা। এই আয় দিয়েই চলছিলো সংসার চলতো তার। ‘মতিন সাউন্ড বক্স’ এর মালিক আব্দুল মতিন মিয়া। গত ২৮ মার্চের হরতালে আগুনে তার পুরো সাউন্ড সিস্টেম জ্বলেপুড়ে ছাই হয়। কপাল পোড়ে মতিনের, একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে সর্বস্বান্ত মতিন। হাহাকার ভিন্ন আর কিছু নেই তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্কুলে উন্নয়ন মেলা ও সুর-সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলায়তনে হরতালের দিন অনুষ্ঠান চলছিল। মতিন মিয়ার সাউন্ড বক্সগুলো ছিলো সেখানেই। সাউন্ড বক্স, জেনারেটর, মাইক্রোফোন, মাইক্রোফোন স্ট্যান্ডসহ ব্যবসার আনুষাঙ্গিক যন্ত্রের মূল্য সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
হরতাল সমর্থকদের আগুনে উন্নয়ন মেলা ও পৌর মিলনায়তন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মতিন মিয়ার ব্যবসার প্রয়োজনীয় উপকরণও আগুন থেকে রেহাই পায়নি। পুড়ে ছাই হয় সব, নিঃস্ব হয়ে পড়েন মতিন মিয়া। মা-বাবা, ভাই-বোন ও স্ত্রী নিয়ে ৯ সদস্যের সংসার মতিন মিয়ার । মতিনের আয়েই অন্ন জুটতো সকলের, সংসার চলতো। পোড়া জায়গায় এখন পাগলের মতো ঘোরাঘুরি করছে মতিন।
প্রশাসনের কেউ ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে এলে মতিন মিয়া ছুটে যান, তার স্বপ্নের যন্ত্রপাতি ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান। বন্ধু, পরিচিতদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন এখন।
তার স্বপ্ন ও চেষ্টা একটাই – তার পুরানো ব্যবসাকে কোনরকমে দাঁড় করানো। কারো কাছ থেকে এখনও কোন সাহায্যের আশ্বাস পাননি তিনি। আশা-ভরসাও হারাতে বসেছেন মতিন – আগামীকাল কী করে বাঁচবেন! এভাবে কতোকাল বেঁচে থাকা যায়!