ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় রাজধানীসহ সারাদেশে হরতালের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতসহ সমমনা ইসলামী দলগুলো। এই হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। হরতালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন বিজিবি সদস্যরা।
শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্দেশনায় চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ওপর হামলার আশঙ্কায় ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানেও থাকতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পুলিশ ও র্যাব সদর দফতরে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা এই হরতালের নামে বিক্ষোভ, মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে, জ্বালাও-পোড়াও করবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ যদি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করে, থানায় হামলা বা আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মনে রাখতে হবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব সদর দফতর সব ব্যাটালিয়নকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি র্যাব সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। কেউ হরতালের নামে সহিংসতা করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’