নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার ,২৬ মার্চ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
‘গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশটির অর্জন বিস্ময়কর’। এক ভিডিও বার্তায় মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।’ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও এমন মন্তব্য করেন।ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উল্লেখ করেন গত পাঁচ দশকে বাংলাশের বিস্ময়কর অগ্রগতির কথা। সামাজিক উন্নয়ন, দূর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেন মহাসচিব। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অমূল্য অবদানের কথা তুলে ধরেন গুতেরেস।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিপুল সংখ্যক বিদেশী কূটনীতিকের অংশগ্রহণ করে। মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সামগ্রিক অনুষ্ঠানকে ভিন্নমাত্রা দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার স্বাগত ভাষণে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, অগ্রসরমান উন্নয়ন মডেলের কথাও প্রতিফলিত হয় রাষ্ট্রদূত রাবাবা ফাতিমার বক্তব্যে। দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশ থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশে উন্নীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে । সিডিপি গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশকে চুড়ান্তভাবে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের অনুমোদন দিয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এই অর্জনের মাধ্যমে সমগ্র জাতির অর্ধ শতকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বিশেষ করে এ কথা তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা শরণার্ধীদের মানবিক আশ্রয় দেয়া এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলাসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।