ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার ৩০ জনকে দুদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মী।
পুলিশের আবেদনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক ইয়াসমিন আরা আজ শুক্রবার এ আদেশ দেন।
এর আগে মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৩১ জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৩০ জনের দুদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। তবে একজন কিশোর হওয়ায় আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ড আবেদনের ওপর শিশু আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রিমান্ড নেওয়ার অনুমতি পাওয়া আসামিরা হলেন জাহিদ, ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, লিমন ফকির, সালাউদ্দিন, নাইম, রিপন, আবদুর রউফ, আসাদুজ্জামান, মুশতাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, সোহেল মৃধা, আজিম হোসেন, আজহারুল ইসলাম , রুহুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, সোহেল আহমেদ, খায়রুল কবির, ফরিদ ইসলাম, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত, মেহেদী হাসান, ইসমাইল হোসেন, রেজউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ বিন মনির, মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন।
এর আগে মতিঝিলে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার আরেকটি মামলা করেন। সে মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের অনেককে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মোট ৩৩ জনকে আটকের কথা পুলিশ জানিয়েছিল। পরে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।