• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ভোঁতা অস্ত্র কাজে লাগানোর অপচেষ্টায় বিএনপি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১
কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও তার দোসরদের যোগসাজশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীরা বিএনপির সহযোগী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে তারা। এর আগেও তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দিয়ে ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনে হালে পানি পায়নি। তথাকথিত আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া না পেয়ে অতীতের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ভোঁতা অস্ত্র কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি।

শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুনামগঞ্জের ঘটনায় সরকার যখন দলমত–নির্বিশেষে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা বলছে। তখন বিএনপির নেতারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তোষণ আর পোষণ করাই বিএনপির রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনার সরকার সব ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি অশুভ মহল বরাবরের মতো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ব্যর্থতা ঢাকতে নানা অপকৌশল আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখেন। অতীতের ধারাবাহিকতায় এ ঘটনায় জড়িতদেরও শাস্তি পেতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সুনামগঞ্জের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে।

আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায়, বিএনপির নেতাদের এমন অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা চৈত্রের দাবদাহে আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। ২০০১ সালের নির্বাচন–পরবর্তী ঘটনাবলি তদন্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন নির্যাতনের ৫ হাজার ৫৭১টি সুস্পষ্ট অভিযোগ পায়। প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়েও ভয়াবহ। বিচার তো দূরে থাক, হামলা–সন্ত্রাস–লুটতরাজের অভিযোগ পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা করতে পারেননি।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর