ডেস্ক রিপোর্ট: কয়েক দিন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সময় মানুষের ‘বেপরোয়া’ চলাচল ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগে ২১ মার্চ থেকে মাঠে নামছে পুলিশ। এ জন্য পুলিশ ‘বিশেষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি’ হাতে নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা সচেতনতাসংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ‘মাস্ক করো অভ্যেস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানে যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হয় ততদিন এ কর্মসূচি চলবে ।
সারা দেশে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করতে কাজ করবে কমিউনিটি পুলিশও। প্রয়োজনে বিনা মূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হবে। তা ছাড়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুলিশের এই উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হবে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, তাদের অনুপ্রাণিত করা, যাতে তারা যখনই বাইরে আসবে, তখনই মাস্ক ব্যবহার করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরবেন। কখনোই মাস্ক ছাড়া বের হতে ভুলবেন না। বিষয়টি মনে ও চর্চায় রাখতে হবে যতদিন পর্যন্ত পুরোপুরি কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি না পাই।’
সংক্রমণ বাড়ার ফলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এ মুহূর্তে ভবিষ্যৎ অনুমান করতে চাচ্ছি না। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার যে প্রভাব আছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের যে গতিধারা আছে, এটাকে বাতিল করার প্রয়োজন হবে না। তবে বেপরোয়া চলাফেরার কারণে পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত দিকে মোড় নিতে পারে, সেটা আমরা চাই না।’
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জনসমাগম ও সভা-সমাবেশের বিষয়টি একজন সাংবাদিক আইজিপির নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, এগুলোকে পরিহার করাই ভালো। তবে (সমাবেশ) যদি করতেই হয়, তবে দয়া করে সবাই (পুলিশের) অনুমতি নিবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি করবেন।’
অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি একধরনের অবহেলা চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেন বেনজীর। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পর্যটন স্থানগুলোতে যাচ্ছেন, সমস্যা নাই। কিন্তু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।’