• রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
বানারীপাড়ার চাখারে শামীম সাঈদীর তাফসির মাহফিল ১৯ জানুয়ারি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকার অনুদান অনুমোদন নিউমার্কেট এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত মেহের আফরোজ শাওন মাজার-দরগাহে হামলা প্রতিরোধে সরকার কঠোর, ৪০টি হামলায় গ্রেপ্তার ২৩ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ দলের উড়ন্ত সূচনা টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা কনকনে শীতের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এত ক্ষমতার মালিক তো দেশ ছেড়ে পালালেন কেন? জামায়াতের আমির

দক্ষিণ এশীয় নারী: অর্থসম্পদ – যৌন সম্পদ (শেষ পর্ব)

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
দক্ষিণ এশীয় নারী অর্থসম্পদ - যৌন সম্পদ (শেষ পর্ব) - দৈনিক এইদিন

উৎপল দত্ত: নারীর উর্বরতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা উভয়ই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে অর্থসম্পদ।চিরাচরিত প্যাট্রোলিনাল বা পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর  স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা আসলে  সমন্বয়ের ব্যর্থতা।

প্যাট্রিলিনাল সমাজে, নারীর কাজ হলো, এমন পুত্র সন্তান উপহার দেয়া  যা তাদের স্বামীর বংশকে স্থায়িত্ব দিতে পারে। এই বিষয়টি নারীর মনে যৌনতা সম্পর্কে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। পুত্রসন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভবনাও কম। অপরপক্ষে নারীর বিবাহপূর্ব যৌন ক্রিয়াকলাপের সামান্যতম ইঙ্গিতটি সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি। পুরুষের ক্ষেত্রে নয়।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর সত্ত্বা, সম্মান ও লজ্জাশীলতা পুরো অংশ নির্ভর করে নারীর যৌন সারবত্তার ওপরা। অবিবাহিত মহিলাদের কুমারীত্ব সংরক্ষণ এবং স্ত্রীর চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পর্কে যে কোনও সন্দেহ দূর করার জন্য পুরো সমাজকাঠামে সংগঠিত। নারীর উর্বরতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা উভয়ই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে অর্থসম্পদ। উৎপাদনের প্রশ্নে এই সমীকরণের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় সমাজ এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে ও ধুঁকছে। চিরাচরিত এই প্রথা থেকে পূর্ব এশিয়া একটু অগ্রসর হলেও দক্ষিণ এশিয়া এখনও পেছনমুখো।

বাংলাদেশে যখন কলকারখানা চালু হয়, পরিবারকে তখন আগ্রহভরে মেয়েদের পড়াশোনায় বিনিয়োগ করতে দেখা গেছে। মেয়েদের বিয়ে বিলম্বিত হয়েছে। শিল্পায়ন মেয়েদের কর্মসংস্থানকে সমর্থন করেছে। বাংলাদেশে বিশেষত স্নাতক নারীদের কর্মসংস্থান বাড়ছে।

পূর্ব এশিয়া পিতৃতান্ত্রিক ফাঁদ থেকে বেরিয়ে দ্রুত শিল্পায়িত হয়েছে। এবং পরিবার নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে পরিবার শ্রম শোষণ এড়িয়ে শহরে পাড়ি দেয়। পরিবারের বাইরে কাজ করে মহিলারা নিজের পরিচিতি, স্বাধীনতা এবং সাহচার্য্য অর্জন করে।

পড়তে ক্লিক করুন:: দক্ষিণ এশীয় নারী: অর্থসম্পদ – যৌন সম্পদ (প্রথম পর্ব)

দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগতি ধীরগতিসম্পন্ন। কাঠামোগত রূপান্তরও দুর্বল। আয় ও সম্মান এখনও বাড়েনি।  ব্যবসা-বাণিজ্যের আদলও আশানুরূপ বদলায়নি। নারী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক রিটার্ন কম থাকে, এরকম দৃষিভঙ্গি এখনও দূর হয়নি। উপযুক্ত বা সম্মানজনক কাজের অভাবের কারণে নারী অর্থনৈতিকভাবে আত্মীয়-স্বজনের ওপর নির্ভরশীল থাকে।

 অর্থনৈতিক বিকাশে মহিলা কর্মসংস্থানের সাড়া শক্তিশালী নয়। মহিলারা একা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।  পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার প্রেক্ষাপট অনেকখানি তৈরি থাকলেও পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর