ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ‘স্টাইল’ করে চুল ও দাঁড়ি কাটার ঘটনায় ৫ তরুণকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে তরুণদের একজন জাতীয় জরুরি সেবা কেন্দ্রের নম্বর ৯৯৯-এ কল করে অভিযোগ দিলে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
শনিবার আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন এক তরুণ।
আজ শনিবার জগন্নাথপুর থানা-পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী পাঁচ তরুণের বাড়ি পাটলী ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া উপলক্ষে গ্রামের সুবেন্দ্র কর (২০), সুবাস কর (১৮), নয়ন কর, (২৫), হৃদয় কর (২৩) ও লিপন দাস (২৭) রসুলগঞ্জ বাজারের ‘লোকনাথ হেয়ার স্টাইল’ সেলুনে চুল-দাড়ি কাটছিলেন। এ সময় সেলুনে আসেন মইজপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০), লোহারগাঁও গ্রামের ফুল মিয়া, পাটলী চক গ্রামের আনর মিয়া (৪২), আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাহীন মিয়া, পাটলী চক গ্রামের আতাউর রহমান। একপর্যায়ে ওই তরুণদের চুল কাটা নিয়ে বিদ্রূপ করেন তারা। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে তরুণদের মারধর করা হয়। এরপর জোরপূর্বক মাথা ন্যাড়া করে দাড়ি ফেলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরুণদের মধ্যে লিপন দাস ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করলে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজ মিয়া, আনর মিয়া ও শ্যামল মিয়াকে আটক করে।
লিপন দাস বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেচে তর্ক করে তাদের মারধর করে চুল ও দাড়ি কেটে দেন। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ দেন। আজ শনিবার তিনি থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব রহমান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।