আমি আগেই বলেছি যে , অভিমান করা স্ত্রীদের কোন দোষ নয় , বরং এটা তাদের সৌন্দর্য । শুধু তাই নয় , এটা তাদের শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারও বটে ।
যেমন এক হাদীসে আছে – নবী করীম ( সাঃ ) আম্মাজান হযরত আয়েশা ( রাঃ ) কে লক্ষ্য করে বলেন- হে আয়েশা ! যখন তুমি আমার উপর অসন্তুষ্ট হও তখন তা আমি অনুভব করতে পারি ।
.
আম্মাজান জিজ্ঞেস করলেন , হে আল্লাহর রাসূল ! আমার পিতা – মাতা আপনার উপর কুরবান হউক , আপনি এটা কিভাবে অনুভব করতে পারেন যে ,
আমি আপনার অসন্তুষ্ট বা রাগান্বিত হয়ে আছি ?
.
হুজুর ( সাঃ ) বললেন , যখন তুমি আমার উপর কোনো কারণে অসন্তুষ্ট থাক তখন ( কোনো বিষয়ে শপথ করার প্রয়োজন পড়লে ) তুমি বল যে ,
হযরত ইব্রাহীমের প্রতিপালকের কসম ।
অর্থাৎ তখন তুমি আমার নাম উচ্চারণ করোনা ।.
আর যখন আমার উপর সন্তুষ্ট থাক তখন বল ,
হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) এর প্রতিপালকের কসম ।.
একথা শুনে আম্মাজান হযরত আয়েশা ( রাঃ )
হেসে দিলেন এবং বললেন , হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ।
.
বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা একথা পরিস্কার ভাবে প্রমাণিত হলো যে , স্ত্রীদের কিছুটা রাগ – অভিমান করারও অধিকার আছে । যদি তাদের এ অধিকার থাকত তাহলে নবী করীম ( সাঃ ) হযরত আয়েশা ( রাঃ ) কে অবশ্যই তা থেকে বারণ করতেন ।
তাই ভাইজান !
আপনার স্ত্রী যদি আপনার উপর কোনো কারণে রাগ করে মুখ ভার করে বসে থাকে , সেজন্য তাকে মারধর করবেন না , এমনকি ধমক কিংবা কটু কথাও বলেন না । বরং আল্লাহর বান্দী মনে করে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে যে কোনো উপায়ে খুশি করার চেষ্টা করবেন ।
.
যেমন – সোহাগ করে কাছে টানুন এবং বাসায় মিষ্টি , মিষ্টি জাতীয় কোনো দ্রব্য কিংবা ফল থাকলে তা তার মুখে তুলে দিন । এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে । অর্থাৎ মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সুন্নতটিও আদায় হবে ।
সূত্র- ইসলামবার্তা