নীল নদের সাপিনী। দ্য সার্পেন্ট অফ দ্য নাইল।
ক্লিওপেট্রার ডাক নাম।
সাপ শুনলেই বিষের অনুষঙ্গ মনে আসে। ক্লিওপেট্রার ডাক নাম সাপ-খোপ এর সাথে যায় না – তবু তা হলো কেন! এও এক বিস্ময়।
ক্ষমতাধর, সুন্দরী নারীর নামের পাশে সরীসৃপের হিশহিশ – আঁতকে ওঠার মতো। দু’টি কারণ থাকতে পারে।
অঢেল সম্পদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী ছিলেন ক্লিওপেট্রা। চিক্কন বুদ্ধি সম্পন্ন এবং একই সাথে যৌন আবেদনময়ী ছিলেন ক্লিওপেট্রা। আজকের দিন হলে তাকে হয়তো ‘হট’ অথবা ‘সিজলিং’ বলা হতো।
চাতুর্য আর চার্ম দিয়ে তিনি বিশ্বের দু’জন শক্তিমান পুরুষকে প্যাঁচে ফেলেছিলেন। তাদের একজন রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার, অন্যজন মার্ক অ্যান্টনি। ক্লিওপেট্রা মিশরের নিয়তিকে জুড়ে দিয়েছিলেন রোমের সাথে। অনেকের ধারনা, তার প্যাঁচ কষানোর বুদ্ধি সাপের মতো।
ক্লিওপেট্রাকে সার্পেন্ট অফ দ্য নাইল বলার আরেকটি কারণ প্রাচীণ মিশরের লোক-বিশ্বাস। মিশরে সাপকে রাজকীয় এবং দেবতা আইসিস এর স্নেহধন্য মনে করা হতো। বাস্তবেও ক্লিওপেট্রা ছিলেন ঠিক তাই।
নীল নদ মিশরের প্রাণ। এইসব মিলিয়ে ক্লিওপেট্রার ডাক নাম হয়ে যায় ‘সার্পেন্ট অব দ্য নাইল’। বা নীল নদের সাপিনী। সাপ এখানে নেতিবাচক অর্থে নয় প্রাচীণ মিশরীয় বিশ্বাস থেকে এসেছে এবং তা ইতিবাচক।
শেক্সপিয়রের একটি বিখ্যাত ট্র্যজেডি ‘অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা’ । এই ট্র্যাজেডিতে অ্যান্টনিও প্রসঙ্গে ক্লিওপেট্রার স্বগোতক্তি:
‘অথবা সে বিড়বিড় করে বলছে, কোথায় আমার নীল নদের সাপিনী?/ ওই নামেই তো আমাকে ডাকতো সে/ এখন আমি সবচেয়ে মধুর বিষ পান করবো’।
ক্লিওপেট্রা খ্রীস্টপূর্ব ত্রিশ শতকে প্রাচীণ মিশরের টলেমিক বংশের ফারাও ছিলেন – সাহসী -সুন্দরী, সেনাপতি।