• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
Notice
We are Updating Our Website

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রয়াত ইপিএস কর্মীর টাকা আত্মসাৎ, দূতাবাসের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রয়াত ইপিএস কর্মীর টাকা আত্মসাৎ, দূতাবাসের মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট: সই জাল করে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি কোরিয়ান ওন আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী প্রয়াত ইপিএস কর্মী শহীদুল ইসলামের স্ত্রী নাজমিন আক্তার। অভিযোগ একজন ইপিএস কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোরিয়ান থানায় মামলা করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ জুন রাতে কোরিয়ায় মারা যান বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী শহীদুল ইসলাম। তার পিতার নাম আব্দুল বাসেত। তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হোয়াসংসির মাদুমিয়োং এর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিয়াটি থানার পারকি ইউনিয়নের রোহা গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মৃত শহীদুল ইসলামের মামা আজিজুল হক দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং বীমা কোম্পানিতে ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাখিল করে ক্ষতিপূরণের অর্থ ও কৌশলে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

আজিজুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করে প্রয়াত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী নাজমিন আক্তার দূতাবাসে অভিযোগ করেন, তার স্বামীর কোরিয়ান ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০৫৯৯০৫৫ কোরিয়ান ওন এবং স্যামসাং বীমা কোম্পানি থেকে ৪৬০২৭৩০ কোরিয়ান ওন প্রতারণার মাধ্যমে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন মামা আজিজুল হক।

অভিযোগে আরও বলা হয়, শহীদুল ইসলামের ব্যাংকের গোপন নম্বর, এটিএম কার্ড হস্তগত করে স্ত্রীর ছবি ব্যবহারসহ সই জাল করার মাধ্যমে আমমোক্তারনামা বীমা কোম্পানিতে উপস্থাপন করে আজিজুল হক। নিয়মানুযায়ী বীমা কোম্পানিতে উপস্থাপিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

জানা গেছে, ক্ষতিপূরণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা পাঠিয়ে মৃত শহীদুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু পরিবার সেগুলো না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে বীমা কোম্পানিতে যোগাযোগ করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।

এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বীমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণের বাকি অংশ পরিশোধ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্হগিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিউল বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বলে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৮ ডিসেম্বর কোরিয়ার স্হানীয় সিহং থানায় আজিজুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

নাজমিন আক্তার বাংলাদেশ দূতাবাস ও কোরিয়ান প্রশাসনের কাছে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারসহ আজিজুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সত্য উদঘাটনের জন্য ইতিমধ্যেই আমি সমস্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :
এ জাতীয় আরও খবর