স্বাস্থ্য ডেস্ক: স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রেণের কথা চলে আসে। ফুড ইনটেক বা খাদ্যাভ্যাস, ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম এর বিকল্প নেই। কিন্তু কিছু লোক গাদা গাদা পিৎজা, ডোনাট – ফাস্ট ফুট খেয়েও কোমর টামি ও কোমর স্লিম রেখে হাওয়ার গতিতে চলছেন। ওজন ঠিক রাখছেন!
তার পেছনের রহস্য কী শুধুই মেটাবলিজম ! মেটাবলিজম বলতে সাধারণত খাদ্য গ্রহণ, হজম সহ সামগ্রিক বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়। কিন্তু মেটাবলিজমকে একটি খাদ্য-ঘড়ির সাথেও তুলনা করা যেতে পারে। খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার সূচক।
এনার্জি আর ক্যালরির কথা এই প্রসঙ্গে চলে আসে। ক্যালরিকে এনার্জিতে রূপান্তর করাই মেটাবলিজম। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরি গ্রহণ করলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি এনার্জিতে রূপান্তিরত হয়। বাকিটা শরীর জমিয়ে রাখে। এভাবেই শরীরে মেদ জমে। ওজন বাড়ে। নারী-পুরুষ মুটিয়ে যায়।
জেনেটিকস ব্যক্তির ওজন বাড়া-কমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে। ২০১৯ সালে পিএলওস জেনেটিকস একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। ২৫০ টি দেশের ডিএনএ গবেষণা থেকে দেখা যায়, ডিএনএ ওবেসিটির সাথে যুক্ত। এই গবেষণায় ১,৬২২ সুস্থ মানুষকে গবেষণার আওতায় আনা হয়েছিল। ১,৯৮৫ জনের বডি ম্যাক্স ইনডেক্স (বিএমআই) ছিলো কম। ১০,৪৩৩ জনের অবেসিটি ছিলো চূড়ান্ত – উচ্চ বডি ম্যাক্স ইনডেক্স সম্পন্ন।
গবেষণার সার্বিক ফলাফলে দেখা যায়, জিনের একটি যোগাযোগ ওজনের ওপর ঠিকই প্রভাব রাখে তবে তা সবক্ষেত্রে নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণের তাই বিকল্প নেই।
কেউ কেউ অতিরিক্ত খাবার খেয়েও মুটিয়ে যায় না। ওজন সেই তুলনায় বাড়ে না। এর কারণ জেনেটিকস ফ্যাক্টর। মানুষের শরীর ও মনের গঠনের সবকিছুই নির্ভর করে তার জিন বা জিনের ভাষার ওপর। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়েও কেউ অল্প ওজনের শরীর ধরে রাখতে পারে। তারপরও ওয়ার্ক আউট মাস্ট। কারণ তা ক্ষতিকর কোলেস্টরল এইচডিএল, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ কিছু লাইফস্পটাইল ডিজিস দূরে সরিয়ে রাখতে কার্যকর।
সূত্র: টাইসম অফ ইন্ডিয়া