জয়া আহসান ‘সেরিব্রাল’-সেলিব্রেটি নয়

জয়া আহসান ‘সেরিব্রাল’- সেলিব্রেটি নয়

মস্তিষ্ক দিয়ে অভিনয় করেন জয়া – দর্শক মাতানের জন্য এটাই তার মোক্ষম স্ট্রোক।‘আমি সেরিব্রাল’ অভিনয় করি।
ইটাইমস এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

সুপারস্টার এর ট্যাগ নিজের কাঁধে আলতো করে ধরে রেখেছেন জয়া আহসান। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির বিপরীতে বাংলাদেশের জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেতা আবার গত রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। জয়া বলেন তারকা নয়, শিল্পী হিসাবে চিহ্নিত হতে চান তিনি।

ঢাকার সাফল্যের পর জয়া আহসান টলিউডের নায়িকাদেরও ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। কলকতার প্রায় সকল খ্যাতিমান পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন।

কৌশিক গাঙ্গুলী, শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শিল, অতনু ঘোষ, শিবোপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, বিরসা দাশগুপ্ত ও সৌকর্য ঘোষাল এর সাথে কাজ করেছেন জয়া আহসান।

জয়া ফিল্মের চিত্রনাট্য বাছাই করেন ভেবেচিন্তে। গল্পের শক্তিকে অগ্রাধিকার দেন তিনি, যেখানে গল্পের আবেদন বলিষ্ঠ।

স্ক্রিপ্ট নিজেই সাহায্য করে – জয়ার উপলব্ধি। চিত্রনাট্য থেকেই সুবিধা পাওয়া যায, এবং অভিনয়ের বিস্তর অভিজ্ঞতার পর দক্ষতার বিকাশ ঘটে।

‘তবে অটল থাকা এবং একাগ্রতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। শুটিং চলাকালীন সময়ে সেল ফোনটি আমার সাথে না রাখার চেষ্টা করি। কারণ ফোন কলগুলি প্রয়োজনীয় হলেও শ্যুটিং জোনে আমার কাছে তা উপদ্রব। একটি চরিত্র রূপায়নের সময় আমি নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে চরিত্রের সাথে সংলগ্ন থাকতে চাই। ’ইটাইমস এর সাথে সাক্ষাৎকারে বলেন জয়া আহসান।

জয়া ‘মেথডিক্যাল’ অভিনয় করেন কিনা জানতে চাইলে তাৎক্ষনিণক ভাবে তিনি উত্তর দেন, মোটেই না। “আমি ‘সেরিব্রাল’ অভিনয়’ করি”। মস্তিষ্ক দিয়ে অভিনয় করেন জয়া – দর্শক মাতানের জন্য এটাই তার মোক্ষম স্ট্রোক।

‘কাজের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাই, আর ‘প্রকৃত জয়া’ কেমন তা আমি বলতে পারবো না – একটি চরিত্রের আচ্ছন্নতা থেকে নিজেকে বের করে আনতে আমার কমপক্ষে দু’মাস বিরতি দরকার হয়।’

চরিত্র জয়ারর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একটি চরিত্র থেকে বেরিয়ে এরে তা ব্যাথা দেয় যদি চরিত্রটির একধিক ভাঁজ থাকে বা চরিত্র বহুস্তর বিশিষ্ট হয়।

জয়া কখনও ভূতপুরী কখনও শুচিবাইগ্রস্থ। সৌকর্য ঘোষালের ভূতপুরিতে অভিনয় শেষে এখন তিন অতনু ঘোষালের ‘ওসিডি’ নিয়ে ব্যস্ত। ওসিডি একিটি মনোরোগ – অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার। ছুঁৎমার্গ বলে যে কথাটি প্রচলিত তারই তীব্র মানসিক অভিক্ষেপ।

সূত্রঃ ইটাইমস, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
উৎপল দত্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *