কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তামিমার আগের স্বামী রায়হানের অভিযোগ তাকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা।
জটিলতায় দিন কাটছে এখন নাসির-তামিমার জুটির। তালাক না দিয়ে বিয়ে এবং কণ্যা সন্তানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর নাসির-তামিমার বিয়ে ইসলামি শরীয়ত মতে বৈধ হয়েছে কি-না সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এমনকি এ ঘটনায় আইনি মারপ্যাঁচে ৫ বছরের জেল হতে পারে নাসিরের এবং তামিমার হতে পারে ৭ বছরের।
ইতোমধ্যেই কয়েকজন আইনজীবী নাসির ও তামিমার বিতর্কিত বিয়ে নিয়ে তাদের আইনি মতামত দিয়েছেন। এমনকি নাসিরের বিয়ের বিষয়টি স্থান পেয়েছে ওয়াজ-মাহফিলের আলোচনাতেও। ঝিনাইদহে একটি ওয়াজে পবিত্র কোরআনের আলোকে অন্যের বউ বিয়ে নিয়ে মাওলানা গোলাম রব্বানী যুক্তিবাদী তার মতামত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ইউটিউব ও ফেসবুকে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
নাসির-তামিমার বিয়ে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নারীদের দোষ আগে দেবেন নাকি পুরুষের দোষ আগে দেবেন? সমাজের অবস্থা এমন হয়ে গেছে বউ তুমি কার? বউ একজনের আছে এরপরও আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এগুলো নারী নাকি বেহায়া ডাইনি।
পবিত্র কোরআনের সূরা নুরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, দুশ্চরিত্রবান নারীর জন্য দুশ্চরিত্র পুরুষ, দুশ্চরিত্রবান পুরুষের জন্য দুশ্চরিত্র নারী।
তিনি বলেন, আমার কাছে ২০টি এসএমএস ও ১০০টি কল আসছে, সবাই জানতে চেয়েছেন- হুজুর পালিয়ে অন্যের বউ বিয়ে করা জায়েজ নাকি হারাম। অন্যের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করা জায়েজ নাই। এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের বিয়ে হবে না, তাদের বিয়ে বাতিল। অন্য আলেম ওলামাদের কাছ থেকে ফতোয়া নেবেন। অন্যের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করলে এ বিয়ে হবে না। শুধু তাই নয়, তিনি একজন মুসলমান ভাইয়ের হক নষ্ট করেছেন। এজন্য তার ডবল গুণাহ হবে।
সব মিলিয়ে নাসির-তামিমার বিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নিবে, রাকিবের নেওয়া আইনি পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকারি হয় এই নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।