উৎপল দত্ত: `এখানে আছে একজন, যার নাম জল দিয়ে লেখা হয়েছিল’। সমাধিফলকের এপিটাফে যা লেখা হবে, কীটস নিজেই তা বলে গিয়েছিলেন। আজও অনেক মানুষ তীর্থযাত্রার মতো রোমে তার সমাধিক্ষেত্র দেখতে যায়।
‘খুব তাড়াতাড়ি আমি শান্ত সমাধিতে সমাহিত হবো। পৃথবীর শীত আমি আমার জীবনে টের পাচ্ছি।’ মৃত্যুর আগে বন্ধু জোসেফ সেভার্নকে বলেছিলেন জন কীটস। আজ জন কীটস এর দ্বিশততম মৃত্যুবার্ষিকী।
আজও কেউ বিস্মিৃত হয়নি তার অমর বাণী – ‘এ থিং অফ বিউটি ইজ জয় ফর ইভার’। যা কিছু সুন্দর তা চিরায়ত।
সুদর্শন এই কবির সুন্দর কবি-কল্পনা এখনও পরবর্তী প্রজন্মকে ছুঁয়ে যায়। দুই শ’ বছরের ইতিহাসে স্বল্পায়ু কীটস এর কবিতার আবেদন বেড়েছে, কমেনি। কীটস এর খ্যাতি এখনও উর্দ্ধমুখী।
‘এ থিং অফ বিউটি ইজ জয় ফর ইভার।’ দুই শ’ বছর পরও কীটস এর কথা উচ্চারিত ও কোট করা হয়। অপরিণত বয়সে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন এই ইংরেজ কবি। দুইশ’ বছার আগে আজকের এই দিনে, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮২১ মৃত্যু হয় তার।
কীটসকে স্মরণ করার সকাল শুরু হবে তার সমাধিতে ফুল ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। একজন ভার্চুয়াল কীটস ‘ব্রাইট স্টার’ কবিতাটি আবৃত্তি করবে। এই ভার্চুয়াল কীটস এর নির্মাতা ‘অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর ডিজিটাল আর্কিওলজি’। পেলে কক্স এর নাটক ‘লিফট মি আপ ফর আই অ্যাম ডায়িং’ মঞ্চস্থ হবে। রোমে কীটস-শেলী হাউস থেকে ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হবে জন কীটস এর দ্বিশততম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠান।
রোমান্টিক যুগের কবি হলেও কীটস নিজেকে রোমান্টিক কবি মনে করতেন না।
‘আমি মনে করি, কীটস ভাষা ও কল্পনাশক্তিকে কবিতায় সঞ্চারিত করার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন যা আজও সত্য’, বলেন কীটস-শেলী হাউসের কিউরেটর জিউসেপ আলবানো।