ডেস্ক রিপোর্ট: সৌদি আরবের নারীরা এখন থেকে অস্ত্র হাতে নিতে পারবেন। দেশটির সেনাবাহিনী তাদের সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন থেকে নারীরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেল।
আরব নিউজের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সৌদি নারীরা এখন থেকে সৈনিক, ল্যান্স কর্পোরাল, কর্পোরাল এবং সার্জেন্ট হিসেবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাবেন। ২০১৯ সালে সৌদি সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগের বিষয়টি প্রথম জানানো হয়। ওই সময় ঘোষণা দিলেও এত দিন পর্যন্ত কোন নারীকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়নি রাজতান্ত্রিক দেশটি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেওয়া বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বরাতে ধীরে ধীরে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে রক্ষণশীল দেশটিতে। আরব বিশ্বের মধ্যে সৌদিকে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত করতে এসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন যুবরাজ সালমান। তার গৃহীত এসব কর্মসূচির আওতায় ২০১৮ সালে দেশটিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি পান নারীরা। এর আগে সৌদি আরবই ছিল পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আবেদনকারী নারীদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য দরকারি উচ্চতা এবং ওজনের পাশাপাশি কমপক্ষে মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে। আবেদনকারী নারী বিদেশী নাগরিকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তিনি আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
বর্তমানে সৌদি নারীরা নানা ক্ষেত্রে কাজ করছেন। বিভিন্ন শপিং মলে ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন নারীরা। যদিও এই পেশাটি একসময় শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করে রাজতান্ত্রিক দেশটি। একই বছর নারীদের বিদেশগমনের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে সৌদি নারীরা পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে যাতায়াতের অধিকার পান। এর আগে কোন সৌদি নারী একা দেশের বাইরে যেতে চাইলে পরিবারের পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হত।