ডেস্ক রিপোর্টঃ এক বিবৃতিতে মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে প্রাচীন মিসরের আবিদোস নগরে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো একটি বিশাল বিয়ার কারখানা আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি ৩ হাজার ১০০ বছর খ্রিস্টপূর্বে কিং নারমারের সময়কার। এটি আবিদোসে পাওয়া সবচেয়ে পুরনো বিয়ার কারখানা বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
কারখানাটি আবিষ্কারকারী দল মিসর-আমেরিকান মিশনের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য ড. ম্যাথিউ অ্যাডামস বলেন, “মিসরের প্রথম দিককার রাজাদের রাজকীয়ভাবে সমাহিত করতে এই বিয়ার ব্যবহার করা হত বলে গবেষকরা মনে করছেন। এই অঞ্চলে এর আগে খননের সময় প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেখানে বলিদান সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে বিয়ার ব্যবহার করা হত।”
তিনি জানান, কারখানাটিতে এক সঙ্গে ২২ হাজার ৪শ লিটার বিয়ার উৎপাদন করা যেত।
মিসরের পুরাকীর্তি বিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তাফা ওয়াজিরি বলেন, “বিয়ার উৎপাদনের জন্য কারখানাটি আটটি ভাগে ভাগ করা ছিল। প্রতিটি ভাগে ৪০টি করে মাটির পাত্র ছিল যেখানে শস্য ও পানি গরম করা হত।”
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মিসরের পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে নতুন আবিষ্কৃত পুরাকীর্তি দেখাতে দেশটির কর্মকর্তারা মুখিয়ে আছেন যেন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ানো যায়।
গত বছরের মার্চ মাসে মিসরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রত্নতত্ত্বের জায়গা ও জাদুঘরগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়। জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করা যায়নি। ২০১৯ সালে দেশটিতে এক কোটি ৩০ লাখ দর্শনার্থী ভ্রমণ করতে এসেছিল। মহামারির কারণে ২০২০ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে ৩৫ লাখে। ২০২০ এর অর্থবছরে মিসরের পর্যটন ব্যয় ১ কোটি ৭৮ লাখ ডলার থেকে ২৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।