ডেস্ক রিপোর্টঃ আরও তিন হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য শিবিরগুলোর দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে নাম লিখিয়েছে। নতুন এসব রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ও সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দিনে এই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ শিবির থেকে ভাসানচরে এটি হবে চতুর্থ দফা রোহিঙ্গা স্থানান্তর।
ভাসানচরে নিয়ে যেতে দফায় দফায় উখিয়া-টেকনাফের শিবিরগুলো থেকে দলে দলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ট্রানজিট পয়েন্টে। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ১৫টি মিনিবাস ও মাল বহনকারী আটটি ডাম্পার ট্রাকের মাধ্যমে শিবির থেকে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট পয়েন্ট উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আনা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের এই দলটি রবিবার ভাসানচরের উদ্দেশে বাসে করে রওনা দিয়ে চট্টগ্রাম যাবে। সেখান থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে করে ভাসানচরে নেওয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও সরকারের উপসচিব মো. শামছুদ্দৌজা বলেন, ‘রবিবার ভাসানচর যাচ্ছে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। তারা সবাই শিবিরগুলোতে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে স্বেচ্ছায় গিয়ে ভাসানচর যেতে নাম তালিকাভুক্ত করেছে।’ তিনি বলেন, ভাসানচরে যেতে রোহিঙ্গারা এখন অনেক বেশি আগ্রহী।
উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার টার্গেট রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তায় নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে আলাদা একটি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।