স্পোর্টস ডেস্ক: বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে এক ক্যালেন্ডারে ৬ শিরোপা জিতলো বায়ার্ন মিউনিখ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মেক্সিকান দল টাইগ্রেসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। এ জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের স্বাদ পেলো মিউনিখের রাজারা।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে এ রাতটা যেন বিশ্বজয়ীদের। বায়ার্নের এমন শিরোপা উল্লাস যেন শেল হয়ে বিঁধলো কনকাক্যাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। হ্যান্সি ফ্লিকের এ দলটা আবারো প্রমাণ করলো কেন তারা অপ্রতিরোধ্য। গোটা ইউরোপজুড়ে জয়ের ঝান্ডা ওড়ানোর পর এবার সে অনলে দহন হলো মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস। ফলাফল ২০১৩’র পর আবারো ক্লাব বিশ্বকাপের ওই রূপালী ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরলো বাভারিয়ান শিবির।
অথচ ফেভারিট হয়েও এ ম্যাচের ফেভারিটের তকমা ছিলো না বায়ার্নের গায়ে। ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে মুলারের পজিটিভ কিংবা সাবেক বান্ধবীর মৃত্যুতে বোয়াটেংয়ের অনুপস্থিতি। সবকিছুই মানসিক ভাবে পিছিয়ে গিয়েছিলো গোটা দল। তবুও সানে-গ্যানাব্রি-কোম্যান-লেওয়ানডস্কিদের পায়ে বায়ার্ন লিখলো অল অ্যাটাক ফুটবলের গল্প।
১৮ মিনিটে প্রথম গোলটা তারা পেয়েই যেতে পারতো। যদি না কিমিচের শর্টে অযথাই পা-টা বাড়িয়ে না দিতেন লেওয়ানডস্কি। এরপর মিউনিখের দলটার সামনে একাই দেয়াল তুলে রেখেছিলেন টাইগ্রেস গোলরক্ষক গুজম্যান। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত থাকে তার প্রতিরোধ। প্রথমার্ধে যেই ভিএআর প্রযুক্তিতে কপাল পুড়েছিলো বায়ার্নের, পাশার দান উল্টে যায় ৫৯ মিনিট সেই ভিএআরের কল্যাণ্যেই। স্কোরার ফ্রেঞ্চ রাইটব্যাক বেঞ্জামিন প্যাভার্ড।
গোল হজম করে আরো চুপসে যায় টাইগ্রেস। সেই সুযোগে আক্রমণের ধার বাড়ায় বায়ার্ন। শেষ ২০ মিনিটে হালি দুয়েক গোলের সুযোগ নষ্ট করে তারা। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান থাকে ১-০।
২০০৯ সালে প্রথম ক্লাব হিসেবে ছয়টি শিরোপার সবগুলো জিতে সেক্সটাপল সম্পন্ন করেছিলো বার্সা। সে রেকর্ডের এখন গর্বিত ভাগিদার ফ্লিকেল বায়ার্নও।