পাহাড়ে সরিষা চাষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন

পাহাড়ে সরিষা চাষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন

ডেস্ক রিপোর্টঃ সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সরিষার ক্ষেতে ফুটেছে হলুদ সরিষার ফুল। বিস্তীর্ণ জমিতে যেন হলুদের রঙছটা। স্বল্প সময় আর কম খরচে সরিষা চাষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন বুনছেন পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা।

প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় ২০২০-এর তুলনায় ২০২১ এ পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে বেড়েছে সরিষার আবাদ। সরকারিভাবে বিশেষ প্রর্দশনী প্লট ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে। পাহাড়ে বেশিরভাগ জমিতেই বিনা ৯, বারি ১৪, ১৭ এবং মাঘী জাতের সরিষার আবাদ করছেন কৃষকরা।

খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর খাগড়াছড়িতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

সরিষা মধ্যবর্তী ফসল উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজ আলী বলেন, “বোরো ও আমনের মাঝামাঝি দুই মাস সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।”

বিনা ও বারি জাতের সরিষার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৯০টি প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী প্লটের বাইরেও প্রান্তিক চাষিরা ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। এর মধ্যে বিলুপ্ত জাতের সরিষাও রয়েছে।

সরিষা মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে পরিচিত। আমনের ফসল ঘরে তোলার পর বোরো চাষের জন্য দুই মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সরিষা উৎপাদনে দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। প্রতি একর জমিতে সরিষা আবাদ করে ১০ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদিত হয়। প্রতি মণ সরিষার ১২শ থেকে ১৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষা আবাদে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না। কম সময়ে সরিষা চাষে ফলন পাওয়া যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। সরিষা উৎপাদন করে দেশের সরিষার তৈলের চাহিদা পূর্ণ হচ্ছে। সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *