ডেস্ক রিপোর্টঃ উৎপাদনে যে খরচ হচ্ছে তার অর্ধেক দামেও ক্রেতা মিলছে না। যার ফলে শীতের প্রাদুর্ভাব ও করোনাকালীন সময়ে বাজার সঙ্কটের কারণে বিপাকে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের সবজি চাষীরা। সবজি চাষ করে লোকসানে পড়া এসব চাষির পাশে দাঁড়িয়েছে সুপারশপ ব্র্যান্ড ‘স্বপ্ন’ ।
উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও বগুড়ায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলিসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বটতলীর চাষি আরিফ আহমেদ। বয়স ৫৫ বছর। তিনি চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রতিটি ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে গড়ে সাড়ে ৫ টাকা। কিন্তু বাজারে ক্রেতা নেই। প্রতিটি দুই টাকা দরেও কেউ কিনছে না। কষ্টের ফসল নষ্ট হচ্ছে জমিতেই। অন্যদিকে চাষের জন্য সুদে নেয়া টাকার চাপ তো রয়েছেই। একই অবস্থা লালমনিরহাটেও। সেখানে নামমাত্র দামেও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে না। লালমনিরহাটের মোগলহাটের ফুলকপি চাষি মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা চাষবাস করে বিপদে আছি। খরচ উঠছে না। জমিতে রাখলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে।’
বগুড়ার কাহালু উপজেলার বাঁধাকপি চাষি শাহ আলম বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে পাইকাররা আসছেন না। বাজারে দাম নাই। চাষবাস করে একবারে ধ্বংস হয়ে গেলাম।’
বিপাকে পড়া এসব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘স্বপ্ন’। ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও বগুড়ার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনছে তারা। দুঃসময়ে ক্রেতা হিসেবে স্বপ্নকে পেয়ে খুশি চাষিরা।
স্বপ্ন’র হেড অব পারচেজ সাজ্জাদুল হক ও সিএসআর অ্যান্ড গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অফিসার শরিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ১২ জন স্বপ্নকর্মী নিয়মিত এসব এলাকায় সবজি ক্রয় করছেন। বিপন্ন কৃষকের জমি থেকে কেনা টাটকা সবজি মিলছে ‘স্বপ্ন’-এর আউটলেটে।
এ বিষয়ে সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘এবার শীতের প্রকোপে উত্তরাঞ্চলের চাষিদের জীবনে দুর্ভোগ নেমেছে। ফসল বিক্রি করতে না পেরে কৃষকরা পরিবার নিয়ে খারাপ সময় পার করছেন। স্বজনের জন্য শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্যও অনেকের নেই। আমরা নিয়মিত উত্তরাঞ্চল থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শীতকালীন সবজি কিনছি।’