ডেস্ক রিপোর্ট: তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় আরো প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন তারা।
নোয়াখালীর ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এসব রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে উখিয়া কলেজ ও কক্সবাজার -টেকনাফ সড়ক সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম জেটি ঘাটে নিযে যেতে অর্ধ শতাধিক বাস ও মালবাহী গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছেন ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এসবের মধ্যে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে সরকারি কর্মকর্তার (সিআইসি) কাছে তালিকা জমা দিয়েছেন।’
এ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ছয়টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ২০৪ পরিবারের ৮৫৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক তাদের ২০টি বাসে ওইসব শিবির থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় বিকাল থেকে। সেখানে রোহিঙ্গারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় আছেন।’
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গারা কাল বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রা করবে। প্রথমে তাদের চট্টগ্রামে রাখা হবে। শুক্রবার সকালে তাদের নৌ বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম থেকে নৌ পথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
রোহিঙ্গা শেড মাঝি সৈয়দ হোসেন জানান, ‘স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য নাম দিয়েছে কুতুপালং ডব্লিউ ফোর ইস্ট ক্যাম্পের ১৩০ পরিবার।’
উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন এবং দ্বিতীয় দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে যাওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এরই মধ্যে তারা সেখানে পিকনিকও করেছেন।