ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির প্রথম চালানের ৫০ লাখ করোনা ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ চালান এসে পৌঁছেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে এ টিকা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। টিকা আসার পর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বেক্সিমকোর টঙ্গী গুদামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সরকারের চাহিদা অনুসারে বিতরণ করা হবে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বেক্সিমকো বণিজ্যিকভাবে কোনো ভ্যাকসিন আনছে না। শুধু সরকারি তালিকায় ওষুধ কোম্পানির নাম না থাকায় শুধু তাদের জন্যই ১০ লাখ ডোজ আনা হচ্ছে। এর বাইরে কেবল বিজেএমইকে দেওয়া হতে পারে। তাছাড়া বাইরে বাণিজ্যিকভাবে এই টিকা বিক্রি হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে ৬৪ জেলায় সরবারহ করবে বেক্সিমকো। কোথাও কোল্ড চেইন ব্রেক হয়নি সেটিও নিশ্চিত করবেন তারা।’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ‘ঢাকায় এসেছে অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম চালান। এর আগে ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এলেও সেটি ছিল বাংলাদেশকে দেওয়া ভারত সরকারের উপহার। এবার আসছে চুক্তিমতো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ডোজের প্রথম চালান। প্রতিবারে ৫০ লাখ করে ৬ দফায় ঢাকায় আসবে অক্সফোর্ডের এ টিকা।’
এই টিকা সারাদেশে বিতরণের আগে সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে।
এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেয়া শুরু হতে পারে। গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা টিকা দেয়ার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’
এরপর ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে করোনার টিকা দেয়া হবে।
এছাড়া আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই ৫০ লাখ টিকা প্রথম দফায় ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া হবে। ২০ জানুয়ারি প্রথম দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেয়া ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন।