ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও দেশের উত্তরবঙ্গে উৎপাদন হচ্ছে রেকর্ড পরিমান চা। চট্টগ্রাম চা অঞ্চলকে ছাড়িয়ে উত্তরবঙ্গ এখন দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চল।
গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ চা প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শামীম আল মামুন।
২০২০ সালে পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার সমতল ভূমিতে ১০টি চা বাগান ও সাত হাজারের বেশি ক্ষুদ্রায়তন চা চাষির বাগান থেকে এক কোটি ৩ লাখ বা ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এ বছর চায়ের জাতীয় উৎপাদন হয়েছে ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের সমতলের চা বাগান থেকে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও চা উৎপাদনে সবোর্চ্চ রেকর্ড করেছে উত্তরবঙ্গ।
ড. মো. শামীম আল মামুন বলেন, “উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১০টি নিবন্ধিত ও ১৭টি অনিবন্ধিত চা বাগান, ৭ হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে (নিবন্ধিত ১ হাজার ৫১০টি) মোট ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়। এসব চা বাগান থেকে ২০২০ সালে ৫ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি চা পাতা উত্তোলন করা হয়, যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের ১৮টি চলমান চা কারখানায় ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপন্ন করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর চা আবাদি জমি বৃদ্ধি পায় এবং ৭ দশমিক ১১ লাখ কেজি বেশি চা উৎপন্ন করা হয়।”