দোকানে দোকানে ঘুরে চাঁদাবাজি করছে হাতি!

দোকানে দোকানে ঘুরে চাঁদাবাজি করছে হাতি!

বিভিন্ন দোকানে ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে, তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানীর কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি।

এভাবে প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়া হচ্ছে। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এভাবেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চলছে।

উপজেলার সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন, দুপুরে হঠাৎ দেখি দোকানের ভেতরে শুঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে বিরাট আকৃতির এক হাতি। টাকা না দিলে হাতি দোকানের সামনে থেকে সরবে না। বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিয়েছি।

পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারের মুদিমাল ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন, কয়দিন পরপরই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা তোলে হাতির মালিক।

তবে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা মালিকদের অভিমত, সবাই খুশিমনে টাকা দিয়ে দেন। খুশি হয়ে দেয়া টাকা চাঁদাবাজি হতে পারে না বলেও দাবি করেন তারা।

হাতির মালিক আব্দুস সালাম জানান, বিভিন্ন যানবাহন, ঘরবাড়ি ও দোকানে হাতি দিয়ে টাকা তোলেন তিনি। তার অন্য কোনো পেশা নেই। হাতি দিয়ে দৈনিক ২ হাজার টাকার মতো আয় করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি হাতির খাবার ও নিজের খরচ চালান।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, যখন হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা ওঠানো হয় তখন কেউ জানায় না। এরপরও কেউ কোনো অভিযোগ করে না। টাকা তোলার সময় জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *