লাইফস্টাইল ডেস্ক: কেউ মিথ্যা বললে অনেকেই আমরা বুঝি না। আর চলার পথে সবাই কম-বেশি মিথ্যা কথা বলে থাকি। এটা হয়তো ক্ষতিকর নয়। তবে কিছু মিথ্যা মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক একেবারে নষ্ট করে দেয়।
কেউ মিথ্যা বললে সহজেই আপনি বুঝে নিতে পারবেন, সে মিথ্যা বলছে নাকি সত্য বলছে। জেনে নিন কয়েক সেকেন্ডে মিথ্যাবাদী ধরে ফেলার কয়েকটি দারুণ উপায়-
– মিথ্যা কথা ধরার জন্য সবার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। শান্ত ধীরস্থির হয়ে কথা শুনলে বোঝা যাবে কোন কোন জায়গায় তথ্যের ঘাটতি বা বানোয়াট কথা আছে।
এ বিষয়ে এফবিআই কর্মকর্তা মার্ক বুটন বলেন, ‘মানুষ যখন কোনো বিষয় বলতে গিয়ে অস্বস্তি অনুভব করে, তখন তার চোখের মণি এদিক সেদিক নড়াচড়া করে। এর দ্বারা বোঝা যায়, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে ইচ্ছুক নয়। যখন কেউ মিথ্যা বলে, তখন সে পরপর পাঁচ-ছয়বার খুব দ্রুত চোখের পাতা ফেলতে পারে। মার্ক বুটনের মতে, সাধারণত মানুষ প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয়বার, অর্থাৎ প্রতি ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা ফেলে।’
– দ্বিতীয়ত, মিথ্যা বলার সময় মানুষের শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। এর ফলে তারা মুখ চুলকায়। এ ছাড়া নাক ও থুতনি স্পর্শ করেন অথবা নাকের নিচে আঙুল দিয়ে ঘষেন।
– অনেক সময় মানুষের মুখ দেকবেন শুকনো হয়ে যাবে, দেখলেই বোঝা যাবে সে মিথ্যা বলছে।
– যে মিথ্যা বলছে তার মুখে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা (মিউকাস) উৎপন্ন হবে। এর ফলে হয় তিনি কয়েকবার কাশি দেবেন, নয়তো কয়েকবার গলা পরিষ্কার করবেন।
– মিথ্যা কথা বলার সময় ঠোঁট কামড়াবেন।
– চোখ ডান দিক বাম দিকে ঘোরাবেন
– মানুষ সাধারণত প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয় বার, অর্থাৎ প্রতি ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা ফেলে। কিন্তু যখন কেউ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তখন সেই ব্যক্তি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে খুব ঘন ঘন পাঁচ-ছ’বার চোখের পাতা ফেলতে পারেন।
– মিথ্যা ধরা পড়ার ভয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়, অন্য কিছুর দিকে তাকিয়ে কথা বলে।
– মিথ্যা বলার সময় মানুষ আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে বেশ দীর্ঘ সময় চোখ বন্ধ রাখতে পারে, যেন খুব ভেবে-চিন্তে উত্তর দিচ্ছেন। আসলে তিনি সত্য লুকাচ্ছেন।
– এ ছাড়া মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশে অস্বস্তিকর ভঙ্গি প্রকাশ পাবে।
যদি বুঝে যান, তিনি মিথ্যা বলছেন, তবে আগেই সর্তক হোন। জীবনে কখনো কোনো প্রয়োজনে আমরা যেন মিথ্যার আশ্রয় না নেই।