ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষে একটি কেন্দ্রের ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরত আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (রেল ইঞ্জিন প্রতীক) আনওয়ার-উল-সরওয়ারের কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে থানা ও জেলা পুলিশের সূত্র নিশ্চিত করেছে। হামলাকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ারের কর্মী-সমর্থকেরা বলেন, ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনা ঘটায়।
পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরত আসার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল ইসলাম ও গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গণনা না করে এবং ফলাফল ঘোষণা না করেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ও নির্বাচনী অফিসের লোকজন ব্যালট ও মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়র পদপ্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ারের সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে একটি গাড়িতে আগুন দেন। তাঁরা পুলিশ ও র্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশও কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মেহের ও সেলিম নামের দুই কর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ার সন্ধ্যায় বলেন, তার কর্মী–সমর্থকেরা এ ধরনের কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কে বা কারা এ হামলা করেছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, ওই কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতির সময় লোকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তবে ব্যালট বা কোনো সরঞ্জাম এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশের রিকুইজিশন করা গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।