ডেস্ক রিপোর্ট: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পরিবারকে জানতে হবে, তার ছেলে বা মেয়ে কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কী করে। পিতামাতা সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তার দায়-দায়িত্বও আপনাকে নিতে হবে। দায়-দায়িত্ব যদি নিতে না পারেন, তাহলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন কেন?’
সোমবার র্যাব সদর দপ্তরে র্যাব সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সেখানে কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রীর ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে, সেই ঘটনাটি “পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম”। এখানে হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘সন্তানদের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধের সঞ্চার করার দায়িত্ব পরিবারের, সমাজের।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কিশোরদের বিপথগামী হতে দেওয়া যাবে না। কিশোর গ্যাং নামে কোনো দৌরাত্ম্য চলতে পারে না। আমাদেরকে এ ধরনের যেকোনো দৌরাত্ম্য মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রবেশন অফিসার নেই, তাহলে কি আমরা গ্রেপ্তার করব না? কারেকশন সেন্টার নেই। তাহলে কি গ্রেপ্তার বন্ধ থাকবে?’
কিশোরদের মধ্যে গ্যাং কালচারের বিস্তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনের ভিন্ন ভাষ্য রয়েছে। নিয়ম হচ্ছে, কিশোরদের গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ামাত্রই প্রবেশন অফিসারকে যুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে প্রবেশন অফিসারের সংকট, সংশোধন কেন্দ্রের সংকট। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এখানে গেলে শুনি কিশোর গ্যাং, ওখানে কিশোর গ্যাং। প্রবেশন অফিসার নেই, তাহলে কি আমরা গ্রেপ্তার করব না? কারেকশন সেন্টার নেই। তাহলে কি গ্রেপ্তার বন্ধ থাকবে?’ তিনি বলেন, সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রের উপযোগী করে সন্তানদের গড়ে তোলার দায়িত্ব পরিবার ও রাষ্ট্রের। সেই দায়িত্ব নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘তোমরা ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হবে। তোমাদেরকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে, নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’