ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৮ মামলা। পেশায় চিকিৎসক এ মেয়রপ্রার্থীর ঋণখেলাপির খ্যাতিও রয়েছে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ৫৪ বছর বয়সী শাহাদাতের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, বিস্ফোরক আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, দ্রুত বিচার আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ৪৮টি মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোর অধিকাংশই রয়েছে বিচারাধীন।
অল্প সময়ে শাহাদাত হোসেন গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অবস্থিত দ্য ট্রিটমেন্ট সেন্টার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির স্বত্বাধিকারী তিনি, যার ব্যবসায়িক মূলধন ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কাছে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১৩২, উত্তরা ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছে তিন কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার এবং অন্যান্য খাতে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকার ঋণ রয়েছে তার।
নগরীর বাকলিয়া ডিসি সড়ক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা শাহাদাত। তিনি থাকেন বাদশা মিয়া সড়কের একটি ফ্ল্যাটে। নিজের মালিকানাধীন ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি অকৃষি জমি এবং ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে তার। এছাড়াও আটতলা একটি আবাসিক ভবনের আট ভাগের একাংশের মালিক তিনি।
এদিকে, শাহাদাত হোসেনের মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দলের একাধিক নেতাকর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘মামলার আসামি, ঋণখেলাপিরা মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হয়, অথচ ত্যাগীদের মূল্যায়ন হয় না। এসব কারণেই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনসমর্থন না থাকলে একটি দল উঠে দাঁড়ানো কখনোই সম্ভব নয়।’
বিএনপির আরেক নেতা বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি মানেই টাকার খেলা হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে যা হলো, তা সবাই দেখেছে। এখনো বিষয়টির স্থায়ী কোনো সুরাহা হয়নি। আসলে ত্যাগীরা ত্যাগীই রয়ে যায়। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ারা নেতা হয়।’
করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি। ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে সবগুলো কেন্দ্রে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে লড়ছেন এম রেজাউল করিম চৌধুরী।