বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক সত্য, এটি রাজনীতির বিষয় নয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভারত থেকে আনা কোভিশিল্ড টিকার কার্যকারিতা, বিশেষ একটি কোম্পানির মাধ্যমে টিকা আমদানি ও টিকা দেওয়ার বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।
ভারতের বিরোধী দল পার্লামেন্টে বায়োটেকের নিজস্ব টিকা নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলেছে, ভারতে তৈরি কোভেক্সিন তৃতীয় ট্রায়ালের আগেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এটি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী মোদী গ্রহণ করুক। পাকিস্তানের মুসলীমলীগ ও পিপলস পার্টির ১১ দলীয় মোর্চা বলেছে, কোভিডকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় থাকার বাহানা বানিয়েছে।
কোভিড রাজনীতির এ বিতর্ককে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে দলগুলো রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ডা. লেলিন চৌধুরী বলেছেন, অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষিত। বেক্সিমকোর মাধ্যমে আনতে হচ্ছে কারণ সিরামের বিশেষ পার্টনার হলো বেক্সিমকো। তৃতীয় বিষয়ে বলেন, সরকার টিকার জন্য একটি নীতিমালা করেছে সুতরাং বৈষম্য হওয়ার সুযোগ নেই।
পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞ ডা. রাণা জওয়াত আকবর ডনকে বলেছেন, টিকা নিয়ে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে নিয়ে পলিটিশিয়ানরা রাজনীতি করছে।
ভারত বায়োটেকের এমডি কৃষ্ণা এলা বলেছেন, ইউকেসহ ১২টি দেশে এর ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়ে প্রায় ৭০টি প্রকাশনা বিশে^র বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। সেখানে সকল তথ্যই দেওয়া হয়েছে।
বিলগেটস ভারতের টিকার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, তিনি টিকার জন্য ভারতের বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে বিশ্বের মানবিকতাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলো।