বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বছরের শুরুতেই দাম বৃদ্ধির রেকর্ড গড়ার পর সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল এই মুদ্রার দাম কমেছে ১৪ শতাংশ। এদিন এক বিটকয়েনের দাম কমে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮০৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪২৫ টাকা।
এর আগে শনিবার (২ জানুয়ারি) বিটকয়েনের দাম ছাড়ায় ৩০ হাজার ডলার; এর পরদিন হয় ৩৪ হাজার ৮০০ ডলার। তবে সোমবার মুদ্রাটির দাম কমে ৭ হাজার ডলার।
অক্টোবরে অনলাইন লেনদেনের অন্যতম প্লাটফর্ম পে-পাল ঘোষণা দেয় ব্যবহারকারীরা সরাসরি পে-পাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচা এবং সঞ্চয় করতে পারবেন।
এছাড়াও, দুই কোটি ৬০ লাখ মার্চেন্টের জন্য ক্রয় প্রক্রিয়ায় ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে পে-পাল। তারপর থেকেই, বিশ্বজুড়ে বিটকয়েনের কদর বেড়ে যায়। অনেকেই বিটকয়েন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সেই থেকেই, ঊর্ধ্বমুখী হয় বিটকয়েনের বাজার।
গত ২৭ ডিসেম্বর এক বিটকয়েনের দাম ছিল ২৮ হাজার মার্কিন ডলার। মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানের দাম বাড়ে ৮ হাজার ডলার বা ৬ লাখ ৮০ টাকা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিট কয়েনের দাম ২০ হাজার ডলারে ওঠানামা করছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতনে মুদ্রাটির দাম ১১ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুদ্রাটির দাম ছিল ১ হাজার ডলারের মতো। তারপর থেকে এর মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। জুনে এক লাফে এর দাম ১০ হাজার ডলার বাড়ে।
বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্ত-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি যেটিকে বিকেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়। এখানে লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না এবং এটি কোন দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোন এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করে যা পিয়ার-টু-পিয়ার মুদ্রা বলে অভিহিত হয়।
সূত্র: ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স